সংবাদদাতা:
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আগমনের ফলে কক্সবাজার জেলা শহরে দেশী-বিদেশী অনেক এনজিওকর্মী ও কর্মকর্তার আগমন ঘটে। এর ফলে হঠাৎ আসা এসব এনজিও কর্মীদেরকে অতিরিক্তি ভাড়ায় বাসাভাড়া দেবার লোভে কতিপয় বাসার মালিক শহরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও ব্যবসা-বানিজ্যের কাজে নিযুক্ত এবং ভাড়াবাসায় বসবাসরত লোকজনকে নানা অজুহাতে বাসা থেকে উচ্ছেদের নোটিশ দিচ্ছে। এটা সরকারী বাসাভাড়া নীতিমালার পরিপন্থী।
এমতাবস্থায় তারা (ভাড়াটিয়া) অসহায় পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। বাসাভাড়ার যে সরকারী নিয়ম-নীতি রয়েছে উক্ত বাসাবাড়ির মালিকেরা তার তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিনব্যাপী বসবাসকারী ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে বাসা ছেড়ে দেবার জন্য নিয়মিত হুমকি ও চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।
কক্সবাজার শহরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীরা যেন সরকারী বাসাভাড়ার নীতির আলোকে স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারে তার সুরক্ষা চেয়ে ২৮ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে কক্সবাজার সিভিল সোসাইটিস ফোরাম -এর নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সোসাইটিস ফোরামের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সমন্বয়ক সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, সেক্রেটারিয়েট সদস্য ও এক্সফেউরুল-এর নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, সিসিএনএফ এর সদস্য-সচিব মকবুল আহমেদ, কক্সবাজার আবাসিক হোটেল শ্রমিক লীগ-এর সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নজির প্রমুখ।