ডেস্ক নিউজ:
আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব বুদ্ধিজীবী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবেন দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘শুধু ১০ দিন অপেক্ষা করেন, দেখেন কী হয়। ১০ দিনের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে। ১০ দিনের মধ্যে দেশের সব বুদ্ধিজীবী ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেবেন। বামপন্থী, আওয়ামীপন্থী সব বুদ্ধিজীবী আসবেন।’

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের ছায়া দেখেও ভয় পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী, ভয় পাবেন না। ড. কামাল হোসেন আছেন, তিনি আপনাকে রক্ষা করবেন। কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মইনুল আপনাকে আইনি সহায়তা দেবেন।’

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজে মিল নেই অভিযোগ করে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে বিএনপি নেতাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হেসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামী আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এর আগে বেলা ২টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর দেড়টার পর কোরআন তেলাওয়াত ও গীতাপাঠের মধ্যেদিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। সমাবেশের কারণে কাজীর দেউড়ি নূর আহমদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সমাবেশেকে কেন্দ্র করে সভাস্থলের আশপাশ ছেয়ে গেছে বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি চেয়ে ব্যানার পোস্টারে। মঞ্চের সামনে নাসিমন ভবনের সামনে মঞ্চে থেকে কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ঐক্যফ্রন্টের হাজার হাজার নেতাকর্মী।