গত ২১ অক্টোবর জাতীয় অনলাইন পরিবর্তন ডটকমসহ জাতীয়/স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত “ইয়াবা বেচে কোটিপতি বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র” শিরোনাম নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র তারপর দিন কক্সবাজারের বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দেয়। উক্ত প্রতিবাদের একাংশে আমাকে প্রতিপক্ষ ও পরিকল্পনাকারী বানিয়ে যেসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা “শাক দিয়ে মাছ ডাকার লোলুপ মাত্র” মনগড়া উদ্যোশ্য প্রনোধিত প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যায় আমার নাম দেখে আমি রীতিমত হতবাক এবং বিস্মিত। মূলত এলাকায় আমার আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বারবার প্রতিপক্ষ সাজিয়ে ষড়যন্ত্র করে আসছে সেই রবিউল ও তার পরিবার। তাদের কারনে আজকে ইয়াবার কালোলেপন মাথায় নিয়ে এলাকা ছাড়া হয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে আমাকে। আমার ইতিকথা এবং পরিবারের কাহিনী : আমার এলাকার ইয়াবা পরিবার খ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের ষড়যন্ত্রে আমিসহ আমার পরিবারের কারও নিরাপত্তা নাই এখন। একেক সময় ভিন্নরূপে ষড়যন্ত্র চলমান আমার পরিবারের বিরুদ্ধে। যদি কোন না কোনভাবে এই সাংঘাতিক পরিবারের অভিযোগ মিডিয়ায় হেডলাইন হয় সাথে সাথে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সুপারিশ চলে আসে এসব রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি কারও টেকনাফে আবার কারও বাড়ি কক্সবাজারে। কে এই ইয়াবা পরিবার খ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ ? আপনারা জানুন তদন্ত করুন। মূলত আমি ও আমার পরিবারের জুলুমের ফিরিস্তি দেখুন-টেকনাফ সদর ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হামজালাল গং টেকনাফ নাজির পাড়ার মৃত নজির আহম্মদের ছেলে ইয়াবা ছিদ্দিক প্রকাশ ব্ল্যাক ছিদ্দিক তিনি ২০১৫ সালের পর হতে টেকনাফের খুনি ছিদ্দিক হিসেবেও জানে সবাই। ২০১৩ সালে একটা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মিশনে নামে এই সাংঘাতিক পরিবারের। বিগত ৪/০৮/২০১৫ সাল রাত ১০টা আমাদের নাফসিটি ফুটবল ক্লাবের অফিসে আমরা ছয়জন ফুটবলার তখনকার হ্নীলা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে নাফসিটি ফুটবল ক্লাব টিম অংশগ্রহন করে। সেই খেলায় অতিথি খেলোয়ার কে আসবে কোন লেভেলের ক্লাবসহ অন্যান্য বিষয়ে নিয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করি এবং তৎকালীণ উক্ত ক্লাবের অধিনায়ক আমি। হঠাৎ আমাদের ক্লাবে প্রবেশ করেন তৎকালীন বিজিবির কয়েকজন অফিসার। আমাকেসহ বাকি খেলোয়ারদের নিয়ে সিও স্যারের কথা বলে নিয়ে যায়।
এরপর কোন কিছু বুঝার আগেই টেকনাফ বিজিবি সদর দপ্তরে আমাদের সবার চোখ বন্ধ করে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। সারারাত আমাদের কিছু খাবার দেয়নি। সকালে আমাদের চোখ খুলে দেয় সিও স্যার নিজেই। বিনয়ের সাথে সালাম দিলাম এবং আমাদেরকে কেন নিয়ে আসা হয়েছে জিজ্ঞেস করলাম স্যার বলছে তোমাদের কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র পাওয়া গেছে। সাথে সাথে সত্যের ধবলী কন্ঠে মিথ্যা ঘটনা বলে সিও মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করলাম স্যারের পাশে একজন অফিসার আমাকে মারধর শুরু করল তার নেতৃত্বে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একদিন পরে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে আমাদের সকলকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়, আমাদের সাথে চট্টগ্রামের একজন কৃতি ফুটবলার ছিল সেই একজন অতিথি ফুটবলার তাকেও ছাড় দেয়নি। সেই ফুটবলারকে হ্নীলা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে আমাদের দলের অংশগ্রহণ করার দুইদিন আগে নিয়ে আসছি আমাদের দলের হয়ে খেলার জন্য।
ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অবৈধ অস্ত্রধারী হিসেবে আদালতে প্রেরণ করছে নির্বিঘেœ ভিনদেশি হিসেবে কারাগারে অবস্থান আমাদের। শুরু করলো মানববন্ধন টেকনাফ তথা কক্সবাজার ফুটবলার সহপাঠীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য। এরপরে আমার মামলা পরিচালনার দায়িত্বে ছুটে আসে আমার মেঝ ভাই মিয়ানমার থেকে গরু মহিষ আমদানীকারক সিরাজুল হক প্রকাশ চাঁন মিয়া। শুরু হলো তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র টেকনাফ থানার তৎকালীন কর্মরত উপ-পরিদর্শক কিবরিয়ার সাথে হামজালাল গং ছিদ্দিক পরিবারের টাকার মিশন। ০২/০৩/২০১৫ সাল মাগরিবের নামাজের পরে মেঝ ভাইকে এসআই কিবরিয়া বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে একদিন গুম রাখে তখনকার টেকনাফ থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত আতাউর রহমান। বাড়ির লোকজন গিয়ে থানায় যোগাযোগ করছে কোনমতে আটকের স্বীকার করেনা। তারপরের দিন অর্থাৎ ০৩/০৯/২০১৫ সাল অবৈধ টাকার বিনিময়ে এসআই কিবরিয়া একজন স্বনামধণ্য প্রতিষ্ঠিত গরু ব্যবসায়ীকে ইয়াবার আসামী করে কোর্টে চালান করে। বন্ধি জীবনে আরেকজন বাঁধনকে পেয়ে আমি নির্বাক। ঠিক ১১দিন পরে ১৪/০৯/১৫ ইং সকাল ৯টায় কারাগারে আমাদের কাছে খবর পৌঁছে প্রকাশ্যে দিবালোকে আমার ভাই শহীদ আজিজুল হক মার্কিন ভাইকে হামজালাল গং ছিদ্দিক পরিবার হত্যা করে এবং মার্কিন ভাইয়ের সাথে আমার আরেক ভাই হাফেজ মৌলানা নুরুল হক মোজাহেরী ভাইকে গুলি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সেইদিন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে শহীদ মার্কিন ভাইয়ের নৃশংস মরদেহ জেলা কারাগারে প্রধান ফটকে। জেল সুপার মহোদয় আমরা দুই ভাইকে ঢাকতে পাঠালেন মরদেহ দেখার জন্য। আসলাম দেখলাম দু-নয়ন ভরে বিদায় দিলাম টেকনাফের পথে আরেক ভাই হাফেজ নুরুল হককে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রেফার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে। আমাদের ছোট পরিবারে আমরা ছয় ভাই পাঁচ ভাইয়ের ছোট আমি এনাম। দুই ভাই কোরআনে হাফেজ আমরা ৪ ভাই দুনিয়াবি লাইনে। তখনকার করুণ কাহিনী আমরা দুই ভাই হামজালাল গং ছিদ্দিক পরিবারের অবৈধ টাকার মিথ্যা মামলায় কারাগারে। আরেক ভাইকে হত্যা করছে সেই সাথে হাফেজ নুরুল হক তাদের বুলেটের আঘাতে ঢাকা রেফার পরিবারের সবার বড় হাফেজ মৌলানা শামসুল হক চট্টগ্রাম হাটাজারী মাদ্রাসায় কর্মরত। টেকনাফে আছে মাত্র এক ভাই সাবেক প্রবাসী সাহাব উদ্দীন সাবু। এবার মার্কিন হত্যা মামলার বাদী হল সাহাব উদ্দীন ভাই। এরপর তার বিরুদ্ধে শুরু ষড়যন্ত্র হত্যা মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তৎকালীন টেকনাফ থানার ওসি আতাউর রহমানকে অবৈধ টাকা দিয়ে একটা মানবপাচার মামলা আরেকটা ডাকাতি মামলা দিয়ে একজন প্রবাসী মামলার বাদী আমার ভাই সাহাব উদ্দীনকে কারাগারে পাঠালো তার পরেরদিন কারাগারে দেখা হলো রক্তের বাঁধনের। তিন ভাই জেল পার্টনার হলাম খুবই আনন্দে আমরা। কিছুদিন পরে সাহাব উদ্দীন ভাই আইনি লড়াই করে জামিনে মুক্তি নিয়ে আমাদের রেখে মুক্তি নিয়ে চলে আসে।
আমরা দুই ভাইয়ের জামিনের বিষয়ে যদি আদালতে আবেদন করি সাথে সাথে ভূল তথ্য দিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি শুরু করে আবেদনের দিন জামিন নাখোশ করে জজ মহোদয় তখন আমাদের আনন্দের সময় পাশে কেউ ছিলনা একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া। কিছুদিন যেতে না যেতে হঠাৎ দেখি সাহাব উদ্দীন ভাই আবার কারাগারে আরেকটা মিথ্যা নিয়ে। সবই নিয়তির খেলা সাহাব উদ্দীন ভাই তৎকালীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতির সাথে রাজনীতি করতো এবং টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সদস্য এখনো আছে, কিন্তু কেউ সুখের সময় পাশে ছিলোনা কারণ হামজালাল ইয়াবার অবৈধ টাকার বদৌলতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে। তার একটা লাল টেলিফোনে চেয়ারম্যান বা আরো অনন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নিরবতা পালন করে।
প্রিয় পাঠক-ঢাকা মেডিকেল ফেরত হাফেজ নুরুল হক একদিন সকালে কক্সবাজার কারাগারে দেখার ঘরে হাজির। দৌড় দিলাম আমরা তিন ভাই একনজর দেখবো বলে হাতে পায়ে অপারেশন দেখার ঘর এতো দূরে যে হাত দিয়ে ছোঁয়া যায়না কোথায় কিভাবে আঘাত করলো দেখতেও পারলাম না উপস্থিত মোট ৪ ভাই মিলে অনেক আনন্দ করলাম পরিশেষে আমার মামলার বিষয়ে হাফেজ নুরুল হক আহত অবস্থায় বাড়িতে এসে শহীদ ভাইয়ের এতিম বাচ্ছাদের দেখে ও তার নিজের বাচ্চা বা দুঃখিনী মাকে দেখে ঢাকা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে আমাকে জানিয়ে বিদায় নিলেন। এক সপ্তাহ পরে ঢাকা যাওয়ার আগে ফিরতি আবার কারাগারে দেখার ঘরে সাক্ষাৎ হয়। তারপরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তারপরের দিন একজন কারারক্ষীর মাধ্যমে খবর পৌঁছাই সুন্দর ভাবে পোঁছাইছে। এবং উকিলের সাথে বিস্তারিত কথা বলে বিকালে জানাবে। সেই বিকালের অপেক্ষায় আছি কোন খবর আসলো না পরেরদিন সাহাব উদ্দীন ভাইয়ের জামিন হলো কক্সবাজার আদালত থেকে সে চলে গেলেন বিকাল বেলা মৌলভী ভাইয়ের পক্ষ থেকে কোন খবর আসছেনা। পরেরদিন গুড নিউজ শুনতে পায় হাইকোর্টের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিদ্দিক সহ সাদা পোষাকধারি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে গেছে।
দুইদিন পরে সত্যায়িত খবর পেলাম নরসিংদী কারাগারে নাকি একবস্তা গাঁজা দিয়ে চালান দিছে মাত্র কয়দিনে সত্যের বিজয়ে জামিন হয়ে মৌলভী ভাই ফিরে আসে।
আলহামদুল্লিাহ্ কিছুদিন পরে কারাগারে পত্রিকায় দেখতে পায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ইয়াবা ডন খুনি হামজালাল গ্রেপ্তার সে আমার ভাই হত্যা মামলার দুই নাম্বার আসামী।
আর কিছুদিন পরে পত্রিকার কাগজে দেখি হামজালালের বোনের জামাই ইয়াবা কিং খুনি ছিদ্দিক ঢাকা শাহবাগ থানায় ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার। আবারও কয়েকদিন পরে পত্রিকার কাগজে দেখি ছিদ্দিকের ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী আরেক ইয়াবা ডন খুনি ফরিদ ও তার মা ইয়াবা কুইন হামজালালের বোন ছিদ্দিকের স্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নামধারী ইয়াবা রবিউলের মাসহ ১৩ হাজার ইয়াসহ ঢাকা মুগ্ধা থানায় গ্রেপ্তার। ২০১৭ সালে শিক্ষা উপসচিবের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ কক্সবাজার ডিবির হাতে কুলাল পাড়ার তুহিন গ্রেপ্তার ধৃত আসামীর জবানবন্দী মতে ইয়াবার মালিক ছাত্র নামধারী খুনি ছিদ্দিকের ছেলে রবিউল। সেই রামু থানা মামলার রবিউল আসামী। ২০১৭ সালে ঢাকা তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইয়াবা রবিউল ও তার বড় ভাই বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৪ মাস কারাভোগ করে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
এবার আসি কারাগার থেকে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার কাহিনী : ঘনিয়ে আসছিল ২০১৬ সালের ২২শে মার্চের ইউনিয়ন নির্বাচনের দিন কারাগারে বন্ধী অবস্থায় টেকনাফ সদর ৮নং ওয়ার্ড থেকে ফুটবল প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করি তখন ইয়াবা মামলায় গ্রেপ্তার হামজালাল আমার ভাই হত্যা মামলার রেফারেন্সে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ।
হামজালাল ও বন্ধী অবস্থায় ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার নির্বাচন করে ২২শে মার্চ নির্বাচনের ফলাফলের অপেক্ষা করছি ৮নং ওয়ার্ডের জনগন অবৈধ টাকায় বিক্রি না হয়ে ১০১৭ ভোট দিয়ে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে। সেই সাথে হামজালালকে তার ওয়ার্ডের জনগণ ধিক্কার জানিয়ে ১২৪ ভোট দিয়ে পরাজিত করে। আবার শুরু প্রচেষ্টা শুরু করলো মৌলভী ভাই আমার জামিনের বিষয়ে।
রওয়ানা আবারো ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রসেসিং করতে করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির শপথের দিন ধার্য্য করেন। আমি বন্ধী আইনি লড়াইয়ের মধ্যে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে শপথ গ্রহণ করি। ৭/০৯/২০১৬ সালে উচ্চ আদালত থেকে আমার জামিন লাভ করে মৌলভী ভাই কারাগারে দেখার ঘরে খবর দিয়ে বাড়ি চলে আসেন। একসপ্তাহ পরে জেল সুপার সাহেব আমাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আসতে বলেন। আসলাম ঠিক বের হওয়ার একমিনিট আগে হঠাৎ কারাগারের অফিসের কম্পিউটারে রিংটোনের মতো কি একটা হানি শব্দ বাঁজে।
অফিস থেকে আমাকে বলা হয় এনাম ভাই আপনাকে মুক্তি দেওয়া হলনা আপনার জামিনের বিরুদ্ধে স্ট্রাই করা হয়েছে ৫৬ দিনের। আনন্দে চলে গেলাম ফিরতি সেই কারাজীবনে। আমি প্রধান বিচারপতি বরাবরে আবেদন করি দুই একবার শুনানি হওয়ার পরে ১৪/১২/১৬ সালে ডিসেম্বর মাসে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে আমার পক্ষে রায় বহাল রাখেন প্রধান বিচারপতি। ১৯/১২/১৬ সালে কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে মুক্তি দেয়। টেকনাফের জনসাধারণ আমাকে ফুলেল মালা দিয়ে বিশাল গাড়ি বহরে গ্রহণ করেন হাজারো জনতা। তারপরে শুরু আমার সততার পথচলা।
আবারও নামে মিশনে আমাকে ঘায়েল করতে :
২০১৭ সালে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের কিছু কর্মকর্তার সাথে অবৈধ টাকার বদৌলতে আমাকে আবারও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আমার বাড়ি বরাবরে নিয়ে আসে। আসলো ডিবি আমাকে নিয়ে যেতে চাইল এলাকার জনতার বাঁধার মুখে পরে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো এবং আমাকে একটা সাজানো মিথ্যা মামলা দিল আমি নাকি ডিবির উপর হামলা করছি। আমার কারা মুক্তির পর থেকে কক্সবাজার ছাড়া আর কোথাও আমার অগ্রযাত্রা হয়নি। কিভাবে আমাকে হত্যা করা যায় এবং কিভাবে প্রশাসনের চোখে খারাপ বানানো যায় সে প্রচেষ্টা হামজালাল গং খুনি ছিদ্দিক পরিবারের। আমি টেকনাফে অথচ আরেকটা মিথ্যা মামলা দিল নরসিংদী থানা থেকে। আবার আরেকটা দিল চট্টগ্রাম সীতাকু- থানা থেকে ইয়াবা মামলা। এর পরে শুরু বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আমি নাকি ইয়াবার গডফাদার আমার নাকি বাহিনী আছে, আরো অভিযোগ লবণের গাড়ি থেকে নাকি চাঁদা দাবী করি। এবং ডাকাতি করি এবং আমার মৃত বাবা নাকি সুদি ছিল বলে পত্রিকায় হেডলাইন করে। ইয়াবা রবিউলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই “আরে বেটা তুমি একজন সমাজের নিকৃত ব্যক্তি” যে ব্যক্তি ইতিহাস কে ভুলে যায় মানুষকে ভুলে যায় সেই মানুষের কাতারে পড়েনা। তোমার বাবা ইয়াবা ডন খুনি ছিদ্দিক যখন মানুষের বাড়িতে মজুরি করতো সে তখন থেকে আমার বাবা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিল তোমার বাবাকে জিজ্ঞেস করো। বর্তমানে আমি আমার শহীদ ভাইয়ের নামে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ আজিজুল হক বালিকা মাদ্রাসা প্রতিষ্টা করেছি এবং ৫ বছর আগে নাজির পাড়া দারুল উলুম হেফজ খানা ও এতিম খানা নুরানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেছি। টেকনাফ সদর ৮নং ওয়ার্ডকে মাদক মুক্ত আদর্শ এলাকা গড়ে তুলতে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করতে ইতিমধ্যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
আমি একজন কৃতি ফুটবলার বাংলাদেশের কমবেশি ফুটবলার আমাকে চিনে টেকনাফ নাফসিটি ফুটবল ক্লাবের বর্তমান অধিনায়ক টেকনাফ শেখ জামাল ফুটবল ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সভাপতি টেকনাফ নাজির পাড়ার স্মৃতি রায়হান ফুটবল ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত সভাপতি টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গনে জড়িত আমি। তোমার পরিবারের মতো বা তোমার মতো ইয়াবা ব্যবসায়ী নয় আমি এনাম। পরিশেষে বলতে চাই- এতো সাধু হলে ইয়াবা মামলায় পুলিশ চার্জসীট কেন দিয়েছে সেই আলোচিত সংবাদের আসামি রবিউল ও তার গংদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন থানায় এত মামলা কেন ? তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি। বারবার গণমাধ্যম কর্মিদের অনুসন্ধ্যানে রিপোর্ট করলে আমার বরাত দিয়ে প্রতিপক্ষ সাজিয়ে বাঁচতে চাই তারা। এলাকায় কতটুকু জনপ্রিয়তা হলে কারাগার থেকে একজন সর্বকনিষ্ট ব্যক্তি মেম্বার নির্বাচিত হই তা খুঁজে বের করুন আপনারা। আমার ও পরিবারের ক্ষতি করতে করতে আমাদের আর কিছুই নেই। বিচার করারও নেই কেহ। একমাত্র আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। একজন নির্বাচিত মেম্বার হয়েও আজ পরাধিন। স্বাধীনভাবে ঘুরতে-খেতে পারছিনা। মানুষের চাহিদামত সেবা দিতে পারছিনা। এরকম বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো হবে।

দেখুন তাদের মামলার ফিরিস্তি :

ছদ্মবেশী রবিউল : ছিদ্দিকের পুত্র রবিউল (২৫) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী পরিচয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের টাকার লোভে ফেলে ইয়াবা আসক্ত সহ ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে রামু এলাকায় পাজেরো গাড়িতে শিক্ষা উপ-সচিবের নাম ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারের সময় গোয়েন্দা পুলিশ ৬হাজার ইয়াবা সহ গাড়িটি জব্দ করে। এসময় কৌশলে রবিউল ছটকে পরলেও পালাতে পারেনি কুলালপাড়া এলাকার তুহিন নামক এক যুবক। সে আদালতে ১৬৪ ধারা জবান বন্দিতে ইয়াবা গুলো রবিউলের বলে স্বীকার করেছে। এ সংক্রান্ত একটি মামলাও হয় তার বিরুদ্ধে। রামু থানার ইয়াবা মামলা নং ২১/জিআর ৭৫/১৭, ডিএমপি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ইয়াবা মামলা নং-৩৭/ জিআর ৩১৬/১৭, সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়িতে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ আটক মামলা সিএমপি কর্ণফুলী থানা মামলা নং ৪০/জিআর ১৪৬/১৮, উখিয়া থানা ইয়াবা মামলা নং ১৩/জিআর ১২১/১৬, টেকনাফ থানা মামলা নং ২৫/জিআর ৪০১/১৩। অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সূত্র।
কে এই ছিদ্দিক :
টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নজিরের পুত্র ছিদ্দিক আহমদ উরফে ব্ল্যাক ছিদ্দিক সাবেক মেম্বার আরেক শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী হামজালালের আপন দুলাভাই। একসময় টেকনাফ-নারায়নগঞ্জ নৌ রুটে লবণের চালান পৌছিয়ে দেওয়া ছিলো তার কাজ। সে ফাঁকে চোরাচালান ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে ট্রলার মালিক পক্ষ ছিদ্দিক ওরফে ব্ল্যাক ছিদ্দিক কে চাকুরীচ্যুত করে। এরপর থেকে রেন্ট-কার ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। গত ২০১৫ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর নাজির পাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ একটি জমি সংক্রান্ত ঘটনায় প্রতিবেশী আজিজুল হক মার্কিন কে হত্যা করে পালিয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় আস্তানা গাড়ে। সেখানে বসেই ঢাকার বিভিন্ন সিন্ডিকেটের সাথে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে। ইতিপূর্বে ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার ঘটনায় ঢাকা শাহবাগ থানা মামলা নাম্বার ১৮/জিআর ৪৬৪/১৬, রামু থানা মামলা নং ২১/জিআর ৭৫/১৭, সিএমপি কর্ণফুলী থানা ইয়াবা মামলা নং- ৪০/জিআর ১৪৬/১৮, টেকনাফ থানা হত্যা মামলা নং ৩৫/জিআর ৫৯১/১৫, চট্টগ্রাম লোহাগাড়া থানা জিআর মামলা নং ১৩/১৭, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কর্তৃক ১৩ হাজার ইয়াবা আটক মামলা নং জিআর ২৮/১৩২।
ইয়াবা ডন ফরিদ :
ফরিদ আলম তালিকাভুক্ত একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। ৪ থেকে ৫ বছর আগেও চাঁদের গাড়ীর ড্রাইভার ছিলেন তিনি। সেই ফাঁকে গাড়ীতে জোগান করে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা ইয়াবার চালান কমিশন হিসেবে পৌছিয়ে দিয়ে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। পরে লোভ সামলাতে না পেরে নিজেই এই ভয়ংকর মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। বিগত ২০১৬ সালে তার মা রশিদাসহ ঢাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ঢাকা মুগ্ধা থানা মামলা নং ২৮/জিআর ১৩২/২০১৬, ডিএমপি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা মামলা নং ৩৭/জিআর ৩১৬/১৭, সিএমপি কর্ণফুলী থানা মামলা নং ৪০/জিআর ১৪৬/১৮, টেকনাফ থানা হত্যা মামলা নং ৩৫/জিআর ৫৯১/১৫, টেকনাফ থানা মামলা নং ২৩/জিআর ২৪৯/১৫, টেকনাফ থানা মামলা নং ৩৫/ জিআর ৭৫৪/১৪, উখিয়া থানা মামলা নং ১৩/জিআর ১২১/১৬, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৭ সালে এপ্রিল মাসে ১৩ হাজার ইয়াবাসহ আটক মামলা নং- জিআর ২৮/১৩২।
ইয়াবা কুইন রশিদা :
হামজালালের বড়বোন ইয়াবা ডন ছিদ্দিকের স্ত্রী ইয়াবা কুইন রশিদা। সে ২০১৬ সালে ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়েছিল। ঢাকা মুগ্ধা থানা মামলা নং ২৮/জিআর ১৩২/১৬, ডিএমপি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ইয়াবা মামলা নং ৩৭/জিআর ৩১৬/১৭, টেকনাফ থানা হত্যা মামলা নং ৩৫/জিআর ৫৯১/১৫।