শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত লাভ করেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। ‘শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্পের ফেরিওয়ালা’ হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ নামডাক উঠেছে তারুণ্যের এই আইডলের! আগামী সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার সদর-রামু আসন থেকে মনোয়ন প্রত্যাশী ইশতিয়াক আহমেদ জয় তার কার্যক্রম দিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়েও নজর কেড়েছেন। পর্যটনের রাণী কক্সবাজারকে এক অনন্য উচ্চতার স্বপ্ন দেখেন এই স্বপ্নবাজ তরুণ।

কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ইতিহাসে স্মরণকালের সময়ে ইশতিয়াক আহমেদ জয় যেমন প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন তা আর কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। এই গন্ডি ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে সর্বমহলের মাঝে একটা ভালোবাসাময় সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প বলে যাচ্ছেন। এই কার্যক্রমটা তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে চমক লাগিয়ে দিয়েছে। এক আলাপচারিতায় জয় স্বপ্নের কথাগুলো তুলে ধরেছেন।

আমার শক্তি, এই জনপদের তারুন্য .. আমার শক্তি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ .. আমি শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্পের ফেরিওয়ালা।

এ প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক পরিবারে জন্মেছি। আমার চাচা অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণপরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আমার বাবা ছিলেন চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের ছাত্রলীগ মনোনীত জিএস এবং ছাত্রলীগ মনোনীত ছাত্র সংসদের ভিপি। বাবা আমাকে রাজনীতিতে ভালোবাসার এক অসীম আকাশ দেখিয়েছিলেন। আজ বাবা নেই, বাবার দেখানো পথেই হাঁটছি।’

কখনো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, কখনো পরিচ্ছন কক্সবাজার গড়ার জন্য অভিযান, কখনো কোরবানির ঈদে বর্জ্য অপসারণ। এমন নানা কাজের মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে কক্সবাজারে এগিয়ে যাচ্ছেন এই প্রজন্মের প্রতিনিধি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের সামাজিক উদ্যোগগুলো সবমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। ছাত্ররাজনীতির সাথে যুক্ত কর্মীদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে, নতুন পথ দেখিয়েছে। জয়ের প্রশংসিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছেÍ‘আমাদের সমুদ্র রাখিব বিশুদ্ধ’ স্লোগান ধারণ করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছনতা কর্মসূচি, স্বাধীনতা দিবস ঘিরে শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতার আয়োজন, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ নামক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক কর্মশালার আয়োজন, মাদকমুক্ত কক্সবাজার গড়তে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকবিরোধী প্রচারণা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২১০ দিন ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান উল্লেখযোগ্য। ব্যতিক্রমী এসব কার্যকম সর্ব মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।


পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন জয়। স্কুলের অধ্যয়নরত অবস্থাতেই প্রগতিশীল ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী হয়ে ওঠেন এবং রাজনৈতিক সচেতনতা অর্জন করেন। কক্সবাজার কেজি অ্যান্ড মডেল হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণি থাকাকালীন ছাত্রলীগের স্কুল সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০০৩ সালে এসএসসি পাস করেই উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে লন্ডন পাড়ি জমান ইশতিয়াক। ২০০৫ সালে লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস কলেজ থেকে সাফল্যের সাথে সালে ‘এ’ লেভেল পাস করেন। মায়ের মৃত্যুর কারণে ২০০৬ সালে লন্ডন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ফিন্যান্স বিজনেস স্টাডিজে গ্র্যাজুয়েশন শেষ না করেই দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে কক্সবাজারে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে অধ্যয়নরত আছেন।

জয় বলেন, ‘আমি কক্সবাজারের সন্তান। এই সৈকত আর তার তীরের সবকিছুই আমার খুবই আপন। কিন্তু মাঝে মাঝে খুব মন খারাপ হয়, হতাশ লাগে। কারণ, পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত আর কক্সবাজার আর্ন্তজাতিক পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারেনি। এটা হওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী। আমার শহর, আমার সৈকতকে আমি বিশ্বমানের দেখতে চাই। চাই ভারতের গোয়ার সাথে পাল্লা দিক কক্সবাজার। নেপাল না গিয়ে ভুটান না গিয়ে মানুষ কক্সবাজার আসুক। যদি সুযোগ পাই, আমি কক্সবাজারকে পুরো পৃথিবীর জন্য অপরূপ ও ঈর্ষণীয় করে সাজাতে চাই। আমি বিশ্বাস করি- সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে কক্সবাজার বিশ্বের মাঝে একটি অনন্য উচ্চতায় স্থান যাবে। কক্সবাজারকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়াটাই আমার স্বপ্ন।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে ইশতিয়াক আহমেদ জয় কক্সবাজার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার ৩ (সদর-রামু) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ইশতিয়াক আহমেদ জয়।