শাহেদ মিজান, সিবিএন:
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জাহাজ শুরু হয়েছে ২৬ অক্টোবর। এর মধ্যে চলতি মৌসুমের পর্যটন শিল্পে এক উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কেননা সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের সাথে সাথে কক্সবাজারে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। এতে করে এখানকার পর্যটন শিল্পে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীদের মাঝে চলছে তোড়জোড়। তবে শঙ্কা দেখা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ফের মুখ থুবড়ে পড়তে পারে পর্যটন শিল্প।

জানা গেছে., প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমের প্রথমে দুটি জাহাজে করে ৫২২ পর্যটক সেন্টমার্টিন যাত্রা করেছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও বে-ক্রুজ সেন্টমার্টিন পৌঁছায়। সেখানে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক ভিড় করেন। পরে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ২৮৪ ও বে-ক্রুজে ২৩৮ পযর্টক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে টেকনাফ ছেড়ে যায় জাহাজগুলো। রাত্রি যাপন করতে দেড় শতাধিকের বেশি পযর্টক দ্বীপে রয়েছেন। বাকি পযর্টকরা সন্ধ্যার আগে টেকনাফের দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে ফিরে আসেন।

সেন্টমার্টিন ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, জাহাজ চলাচলে দ্বীপের সব শ্রেণি পেশার মানুষের মুখে হাসি ফুঁটে উঠেছে। গত সাড়ে ছয় মাস এখানকার মানুষ হতাশায় ভুগছিলেন।

টুয়াকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এম কিবরিয়া জানান, জাহাজ চলাচলের সংবাদ জানার পর থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসতে আগ্রহ বেড়েছে ভ্রমণপিপাসু লোকজনের। শুক্রবার মৌসুম বারের মতো দু’টি জাহাজ সেন্টমার্টিন যায়। এর আগেই যাত্রীরা বিভিন্ন ট্যুর ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ কক্সবাজারের বেড়াতে আসার বুকিং দিয়ে রাখেন। বুকিং অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি ভালো থাকলে এখন থেকে পুরোদমে পর্যটক আসতে থাকবে বলে আশা করছি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী না নেয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপদে পৌঁছানোর ব্যবস্থা, আবহাওয়ার সতর্কতা-সংকেত মেনে চলা, জাহাজে আনসার বাহিনী নিয়োজিত রাখা, লাইফ-জ্যাকেটসহ সব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ফিটনেস লাইসেন্স সঙ্গে রাখার শর্ত দেয়া হয়েছে।

কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম বলেন, এখন সাগর শান্ত থাকায় পযর্টক পারাপারের অনুমতি দেয়ায় পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে জাহাজ ছেড়ে যাবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ভ্রমনে আসা পযর্টকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্টপুলিশও কাজ করছে। জাহাজে ও সেন্টমার্টিনে চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি টহল জোরদার করতে টেকনাফ থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।