কক্সবাজার জেলা পরিষদ নারী সদস্য আশরাফ জাহান কাজল


নুসরাত পাইরিন


সমাজসেবায় ও শিক্ষা উন্নয়নে সফল কর্মবীর নারী আশরাফ জাহান কাজল । পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য তিনি আদর্শ । সাদা সিদে জীবনের অধিকারী। নেই কোনো বিলাসিতা ও অহংকার । উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরীর সুযোগ্য সহধর্মিণী তিনি। চার সন্তানের জননী। বড় ছেলে যমুনা টেলিভিশন কক্সবাজার জেলার প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী , মেঝ মেয়ে ডাক্তার তাফহিমা চৌধুরী ও সেঝ মেয়ে তাসমিহা চৌধুরী (ডাক্তারী পড়ছেন) ও ছোট ছেলে ইবনুল আকিব চৌধুরী কক্সবাজার সিটি কলেজে অধ্যয়নরত এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

সাংসারিক কাজের পাশাপাশি নারী জাগরণে বিভিন্ন সেক্টরে সফলতার সাথে অবদান রাখছেন। ইতোমধ্যে তিনি আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে হাজার হাজার নারীদের প্রিয় নারী হিসেবে মন জয় করেছেন। নারী শিক্ষার কথা চিন্তা করে ২০১১ সালে কক্সবাজার শহরে গড়ে তুলেছেন কক্সবাজারের প্রথম চৌধুরী গার্লস হোষ্টেল। উখিয়া উপজেলার প্রতিটি বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে ভানবাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রাকৃতিক দুযোগে অসহায়দের পাশে দাড়ানো তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। উখিয়া উপজেলার মাটি মানুষের কাছে উনার অবদান অতুলনীয়। রাতের অন্ধকারে বন্যা দূর্গত মানুষকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন ।এছাড়া উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার আন্তরিক সহযোগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে উখিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং উখিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান হয়েছে। এমপি বদির সহযোগিতায় উনার পরিকল্পনায় উখিয়া উপজেলা অনেকটা উন্নতির দিকে।  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হয়েছেন জেলা পরিষদের প্রথম নারী সদস্যা। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, ব্যবসার ক্ষেত্রেও তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তাও। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে রয়েছে মরিচ্যা চৌধুরী ফিলিং স্টেশন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখি প্রতিটি গরীব, দুঃখী মানুষের ছেলে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা।শিক্ষা ক্ষেত্রে উখিয়া উপজেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা এই মহিয়ান নেত্রী জানান, এসবের পিছনে যারা আমাকে সাহস,অনুপ্রাণিত করে আসছে আমি তাদের প্রতি আজীবন  কৃতজ্ঞ থাকব । তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্যরা হল গর্বিত বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক দৈনিক কক্সবাজারের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব নুরুল ইসলাম, উখিয়া-টেকনাফের এমপি আবদুর রহমান বদি , এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা- সভাপতি জেলা আওয়ামীলীগ, মেয়র মুজিবুর রহমান – সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামীলীগ, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি,কানিজ ফাতেমা মোস্তাক – সভানেত্রী কক্সবাজার মহিলা আওয়ামীলীগ এবং স্বামী রাজনীতিবিদ সমাজসেবক সাবেক উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী।
তিনি যেসব সামাজিক,শিক্ষা, সৃজনশীল কাজে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ :-
(১) কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রথম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নারী সদস্য
(২) সভাপতি,উখিয়া রুমখা চৌধুরী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
(৩) সহ সভাপতি, উখিয়া চেমন বখতিয়ার চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়।
(৪) আজীবন সদস্য, সোনার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
(৫) পরিচালক, চৌধুরী গালর্স হোষ্টেল
(৬) পরিচালক, মরিচ্যা চৌধুরী ফিলিং স্টেশন।
বর্তমানে  স্বামী আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক চৌধুরীর সাথে তিনি সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে জনগনের মাঝে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনকেও আন্তরিক ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। তিনি নারী মুক্তিতে আরো বেশী কাজ করে যেতে চান। ষোল কোটি নাগরিকের অর্ধেক নারীর ক্ষমতায়নই দেশকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ গঠন করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন।

নুসরাত পাইরিন
শিক্ষার্থী , কক্সবাজার সিটি কলেজ।