চকরিয়া প্রতিনিধি :

চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পূর্ব বানিয়ারছড়াস্থ সীমান্তবর্তী লামার ফাইতংয়ে রোমানা আক্তার (২৪)  নামের এক গৃহবধুকে শাররীক নির্যাতন করে যৌতুকের দাবিতে মারধর ওবসতভিটা জবর-দখলের অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়ে আক্রান্ত ওই গৃহবধু ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার (২৪অক্টোবর) বরইতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ববানিয়ারছড়াস্থ সীমান্তবর্তী ফাইতং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে অভিযুক্তরা এ ব্যাপারে মামলা করলে ওই গৃহবধু ও তার সন্তানদের  হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত গৃহবধুরোমানা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের শান্তি বাজার এলাকার চাঁদ মিয়ার ছেলে জাকের হোসেনের সহিত একই ইউনিয়নের পূর্ব বানিয়ারছড়াস্থ সীমান্ত ফাইতং এলাকারআবদুল মালেকের মেয়ে রোমানা আক্তারের (২৪) সাথে দশ বছর পূর্বে রেজিষ্ট্রার কাবিন মূলে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে বর্তমানে ১ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে তারা সুন্দরভাবে সংসার জীবন করে আসছিল। গত ১বছর থেকে রোমানা বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী জাকের ও শাশুড় লোকজন তাকে (গৃহবধু রোমানা) নানাভাবে নির্যাতন করতে শুরু করে। এক পর্যায়েতার উপর শাররীকভাবে নির্যাতন চালাতে শুরু করে স্বামী জাকের। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে। সর্বশেষ  গত ২২ অক্টোবর স্বামী জাকের ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধরকরে বসতঘর জবর-দখলে নিতে চেষ্টা চালায়।

গৃহবধু রোমানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী জাকের যৌতুকের দাবিতে তার কাছ থেকে দুইলক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেন। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় তার সন্তানের উপর ও তাকে মারধরকরে নির্যাতন করা হতো। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে স্বামী জাকের তার কর্মস্থল থেকে বাড়িতে এসে আবারও বাবার বাড়ি থেকে পৈত্রিকপ্রাপ্ত জায়গা জমি বিক্রি করে যৌতুক টাকা এনে দেয়ার জন্য আমাকেচাপাচাপি করে। ওইসময় আমি টাকা আনতে পারবো না জবাব দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে মারধর করে বসতভিটা জায়গা জবর-দখলে নিতে হামলা চালায়। ওইসময় তার সাথে আমার পালিত ভাই ওবোনেরা জোটবেঁধে বসতভিটা জবর-দখলে নিয়ে সন্তানদের জিম্মি করে অপহরণের অপচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে স্থানীয় ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান কাছে স্বামী জাকেরসহ চার জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগদেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ ধরণের কোন ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থানেয়া হবে বলে তিনি জানান।