শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ

কক্সবাজারের খরুলিয়া’য় মানষিক ভারসাম্যহীন ও বাকপ্রতিবন্ধি সেই পাগলীটা মা হয়েছেন। কক্সবাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন পাগলী।

কিন্তু কে বা কারা এই ধর্ষণের মূল হোতা? তারা লোক চক্ষুর আড়ালে থাকলেও একদিন বেরিয়ে আসবে আসল তথ্য। হয়তো সেদিন মানুষের সমাজে চিহ্নিত করা যাবে সেই সব মানুষরূপী জানোয়ারদের। এমনটাই দাবী স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানায়, খরুলিয়া বাজারে তিন বছর আগে অজ্ঞাতনামা এই মানষিক ভারসাম্যহীন ও বাকপ্রতিবন্ধি তরুণীর দেখা মেলে। রাস্তার ধারে কিংবা ওই এলাকার তিন রাস্তার উত্তর পাশে মাছ বাজারে তাকে প্রায়ই শুয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। কখনো কারো কাছে হাত পেতে খাবার নিতেন না। কেউ নিজ ইচ্ছায় কিছু দিলে সেগুলো নিতেন।

গেলো বেশ কয়েক মাস আগে ওই পাগলীকে অন্তঃসত্ত্বা দেখে স্থানীয় লোকজন। এতে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

এদিকে হাওরে ধর্ষণের ঘটনায় মানুষিক ভারসাম্যহীন ও বাকপ্রতিবন্ধি তরুণী সন্তান প্রসবের খবরে মুরশিদা বেগম এবং রোকেয়া বেগম ও ঝিলংজার ইউপি মেম্বার আবদুর রশিদসহ বেশ কয়েকজন পাগলীটাকে ক্লিনিকে ভর্তি করেন সেখানে ছেলে সন্তান প্রসব করে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের পরিচালক মোঃ ইসা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অপুষ্টিজনিত কারণে বাচ্চাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে পাঠায় এবং পরে পাগলীটাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

একই সঙ্গে শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন একটি নিঃসন্তান দম্পতি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অমাখোঁ পরিবার জানান, সামাজিক অবক্ষয়ের ফলে সমাজে এমন ঘটনা ঘটছে। সত্যিই একজন সেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আমরা বা আমরা লজ্জিত।

জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, সভ্য সমাজে এখনো অসভ্য মানুষ রয়েছে। তাইতো সমাজে মানুষিক ভারসাম্যহীন নারীরাও ধর্ষণের শিকার হয়। তবে, নিষ্পাপ শিশুকে দত্তক নিতে একটি নিঃসন্তান দম্পতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এছাড়াও আমরা প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।