গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা শিরোনামে আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ি উল্লেখ করে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। প্রত্যেক সংবাদের শিরোনাম ভিন্ন হলেও আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো একই রকম। সংবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম ও অভিন্ন, কপিপেষ্ট বললেও ভূল হবেনা। যেটি কারো স্বার্থচরিতার্থ করার মতো। মুল কথা হলো- আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। কিন্তু তারা আমাকেও ইয়াবার মতো ঘৃন্য মাদকের সাথে জড়িয়ে সংবাদ তৈরী করেছে। যেটি আমার নৈতিকতাকে আঘাত করা হয়েছে। আমার পিতার কষ্টে উপার্জিত অর্থে চট্টগ্রামের মতো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি। যে অর্থ হালাল রোজগারের। সংবাদে আমার নামে ব্যাংক একাউন্ট কিংবা সেই ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করার অভিযোগ আমাকে ব্যথিত করলেও সৎজনদের হাসির খোরাকও হয়েছে। যদিও এ ধরণের তথ্য আমাদের আইনি পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে। সংবাদে যেভাবে ঢালাওভাবে আমি এবং আমার পরিবারকে ইয়াবা ব্যবসায়ি সাজানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মুলকথা হলো, আমার পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার। টেকনাফের নাজিরপাড়ায় একটি চিহ্নিত মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমি, আমার বড় ভাই, ফরিদ, পিতা ছিদ্দিক আহমদ ও আমার মামা হামজালাল বিভিন্ন সময় হামলা, মামলা এমনকি জেল কাটানোর মত ষড়যন্ত্রে করে। কারণ আমাদের পরিবারের অপরাধ ওই অশুভ এনাম বাহিনীর অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না বলে।
তাদের এ হামলা ও মামলায় বর্তমানে আমরা এলাকা ছাড়া আজ প্রায় ৩ বছরের বেশী সময়। সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট তারা আদালতে আমার পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের জামিন বাতিল করাতে না পেরে হুমকি দেয় এক পর্যায়ে তারা নাজির পাড়া এলাকায় আমাদের বসতবাড়িতে রাতের অন্ধকারে অগ্নিসংযোগ করে। শুধু তাই নয়, তারা যেকোন উপায়ে আমাদের মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত করতে মরিয়া হয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে। অথচ, তারাই টেকনাফের অন্যতম বড় মাদক ব্যবসায়ী। এনাম মেম্বার ও তার পরিবারের অবস্থা এলাকার সবাই অবহিত রয়েছে। তাদের এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাই অবস্থা ছিল। অথচ, আজ তাদের রাজকীয় চালচলন ও ভাবসাব। যেন কোন জমিদার বংশের উত্তরসুরী তারা। কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হলো এই পরিবার ? নাজির পাড়া ও আশপাশের এলাকায় তাদের কোটি টাকার জমি জমার উৎস কি ? দুধর্ষ এনাম বাহিনীর প্রধান এনামুল হক এতোই বেপরোয়া ও দুর্ধর্ষ যে র‌্যাব এর সাথে সামনা সামনি বন্দুকযুদ্ধ পর্যন্ত করেছে সে ও তার বাহিনী। যা টেকনাফসহ গুটা দেশের জনগন জানে। এসংক্রান্ত মামলাও রয়েছে তার নামে শুধু বন্দুকযুদ্ধ নয়, ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়ে সে। এর চেয়ে মাদক ব্যবসায়ী প্রমানের আর কি থাকতে পারে। অথচ, সে নিজেকে রক্ষা করতে আমাদের পরিবারকে মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে সংবাদ প্রকাশ করে নিজের অপকর্ম ঢাকতে চায়। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো শাক দিয়ে কখনো মাছ ডাকা যায় না। তাই সাংবাদিক ভাইদের প্রতি আকুল আবেদন আমাদের প্রতিপক্ষ ইয়াবা গডফাদারদের চালচক্রে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত সত্য তুলে ধরুন। পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই-আমরা সর্বদা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং ভবিষ্যতেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবো।

প্রতিবাদকারী
রবিউল আলম
ছাত্র, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।