শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি দখল করে রেখেছে সরকারি কলেজের সামনে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুইপাশ। সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে যানবাহন চলাচলের প্রধান সড়কটি। রাস্তায় চলছে খুঁটি উঠা-নামানোর কাজ। এতে বেড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। খুঁটি অপসারণে সড়ক পরিবহণ ও জনপথ বিভাগ এবং পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা। তবে এক দেড় মাসের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে বলে আশ্বাস কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের।

কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের সুত্র অনুযায়ী জানা যায়, ২০১৯ সালের মধ্যে জেলায় ৪ হাজার কিঃমিঃ লাইন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের লক্ষে বৈদ্যুতিক খঁটিসহ প্রচুর মালামাল নিয়ে আসা হয়েছে। সংরক্ষণের নির্দ্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো কলেজের সামনে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দুপাশে প্রায় ১ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে রাখা হচ্ছে।
প্রতিদিনই আসছে খুঁটির্ভতি ট্রাক, সড়কেই চলে খুঁটি উঠা নামানোর কাজ।

এদিকে সড়ক থেকে খুঁটি স্থানান্তরের জন্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে তাগিদ আসলেও এসব খুঁটি অপসারণের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ স্থায়ী কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এদিকে সড়কে খুঁটি উঠানামানোর কাজ চলায় ছোট হয়ে যায় যানবাহন চলাচলের পথ। ভারী খুঁটিগুলো ট্রাক থেকে নামানোর সময় অধিক স্থান প্রয়োজন হওয়ায় দুপাশের গাড়ি আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় যানজট। খুঁটি উঠানো-নামানোতে চলাচলরত গাড়ি যথাসময়ে ব্রেক না করলে দুর্ঘটনা ভয়াবহতা কতটুক হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কলেজের শিক্ষার্থীদের ধারণা, যেকোন সময় দৈত্যাকার খুঁটি ছিটকে পড়তে পারে চলাচলরত যানবাহনের উপর।

চট্রগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের এমন অব্যবস্থাপনায় আতঙ্কে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রী এবং কলেজ শিক্ষার্থীরা, মামুন নামের এক লেগুনা চালক বলেন, রাস্তার পাশে খুঁটি রাখার কারণে রাস্তায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে খুঁটি উঠানো নামানো হয়। এতে রাস্তা ছোট হয়ে যায়। ছোট রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানো অনেক ঝুঁকির ব্যাপার। দেখে না চালালে খুঁটির ধাক্কায় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আর সব দোষ আসবে আমাদের উপর।
সেলিম আহমদ নামে এক বাস চালক বলেন, ভয়ে থাকি কোন সময় খুঁটি গাড়ির উপরে ছিটকে পড়ে। খুঁটিগুলো যথাস্থানে রাখলে আমরা নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারতাম। নতুবা আমরা আতঙ্কে থাকি।

কক্সবাজার পল্লী বিদুৎ বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ আজম মজুমদার বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে জেলায় ৪ হাজার কিঃমিঃ লাইন বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনার লক্ষে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই প্রচুর সরঞ্জাম আনা হচ্ছে। এত দিন বৈদ্যতিক খুঁটি রাখার জন্যে আমাদের নিজেস্ব কোন জায়গা ছিল না। তাই সড়কের দুপাশে খুঁটি রাখা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজ চলার স্বার্থে রাস্তায় খুুঁটি উঠানো নামানো হয়। এই কাজটি বিপদজনক। আশা করছি এক-দেড় মাসের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থানান্তর করতে পারবো।