কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে র‌্যাবের তল্লাশীতে প্রায় ১৩৯৬০ পিচ ইয়াবা নিয়ে গাড়ি জব্দ ও ড্রাইভার হেলপার আটকের একাংশে আমি নিন্মস্বাক্ষরকারী তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত ১৯ অক্টোবর ও ২০ অক্টোবর জাতীয় ও স্থানীয় কিছু অনলাইন ও পত্রিকায় এই ইয়াবা উদ্ধার নিয়ে সংবাদে আমি টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া’র নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে- ইয়াবাসহ জব্দ করা গাড়িটির মালিক আমি। যার কোনো সত্যতা নেই। ওটা আমার গাড়ি হতে পারে না। একসময় গাড়িটি আমার ছিল।

গত ১৮/০২/২০১৮ ইং তারিখে উল্লেখিত গাড়ি খানা রহমত উল্লাহকে বিক্রি করা হয়েছিল। যার প্রমাণসহ আমার কাছে রয়েছে। সেই থেকে অদ্যাবধি গাড়ির প্রকৃত মালিক আটককৃত ড্রাইভার। বিক্রি করে দেয়া গাড়ির মালিক আমি কোনোভাবেই হতে পারিনা। সঠিক তথ্য না নিয়েই পূর্বের ষড়যন্ত্র হিসেবে একটি পক্ষ আমাকে বেকায়দায় ফেলানো অংশ নিয়ে আমার নামটি জড়িয়ে দিয়েছে। সংবাদকে আকর্ষণি করতে আমার নামটি কোনো কারণ ছাড়াই ব্যবহার করেছে বলে আমি মনে করছি। এমনকি প্রশাসন থেকেও বলা হয়নি যে’ গাড়িটি আমার।

আমি বলতে চাই- বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠা রাজপথের সৈনিকরা কখনো অসৎ অন্যায় এবং অপপ্রচারের কাছে মাথা নত করেনা। অতিশয় দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যান গার্ড হিসাবে তৃণমূল পর্যায়ে তথা টেকনাফ উপজেলায় সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদির নেতৃত্বে যখন প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা জনগণের দোড় গোড়ায় পৌছেঁ দেওয়ার নিরলসভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি; ঠিক এমনি মুহূর্তে একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মূলত আমার পরিবারটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি বারবার। আমার পিতা জাফর আলম বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এরআগে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে টানা তিনবার মেম্বার নির্বাচিত হন। এরপর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন টানা আট বছর। বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সুনামের সাথে। বিপুল ভোটে আ.লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আমার পিতা। যার কারণ রাজনৈতিক একটি চক্র আমাদের বিরুদ্ধে লেগেই আছে। যার অংশ হিসেবে আমার বড় ভাই টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক আহমদকে গুম করা হয়েছে। তিন বছর ধরে তার কোন হদিস নেই।

ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২ টায় টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের র‌্যাবের তল্লাশীতে প্রায় ১৩৯৬০ পিচ মরণ নেশা ইয়াবাসহ ড্রাইভার ও হেলপার যথাক্রমে রহমত উল্লাহ এবং ইব্রাহীম আটক হয়। পরে র‌্যাব-৭ এর তথ্য অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রেস ব্রিফিং করে আসামীদ্বয়কে কক্সবাজার থানায় হন্তান্তর করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু পরের দিন থেকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের এজেন্ডা কিছু সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমি জাতীয় শ্রমিক লীগ টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি ও টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়ার বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লেগেছে। সেখানে উল্লেখ করা হচ্ছে; আটককৃত গাড়ি ও রহমত উল্লাহ নাকি আমার ব্যক্তিগত ড্রাইভার। যা একদম বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। প্রকৃতপক্ষে গত ১৮/০২/২০১৮ ইং তারিখে উল্লেখিত গাড়ি খানা রহমত উল্লাহকে বিক্রি করা হয়েছিল।

আমি দাবী করছি- সরেজমিনে তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে শাহাজান চেয়ারম্যান এর বর্তমান ড্রাইভারের নাম হোছন আহমদ। পিতা মৃত আমির আহমদ। সাং উত্তর লেঙ্গুর বিল, টেকনাফ সদর, কক্সবাজার।

সুতরাং অনতিবিলম্বে বলতে চাই আমার বিরুদ্ধে এহেন অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন বন্ধ করুন। সংবাদে আমার নামে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা মূলক কাল্পনিক তথ্য। মনগড়া তিলকে তাল বানিয়ে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে আমাকে। সঠিক তথ্য পরিবেশন করলে ঘটনার মূল নায়ক বের হয়ে আসবে।
এবিষয়ে আমি জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি ।

প্রতিবাদকারী
শাহাজান মিয়া
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জাতীয় শ্রমিকলীগ টেকনাফ উপজেলা সভাপতি