মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে ২০ অক্টোবর শানিবার পুলিশের তালিকাভূক্ত অর্ধ্বশতাধিক মহেশখালী এলাকার সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও কুখ্যাত জলদস্যু র‍্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ ও তাদের অবৈধ অস্ত্র জমা দেবে। অপরাধজগত ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য দীর্ঘদিন যাবত কৌশলে অপরাধীদের উৎসাহ প্রদানের প্রেক্ষিতে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও জলদস্যুরা আত্মসমর্পণে আগ্রহ প্রকাশ করায় ইতিমধ্যে তাদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে বলে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ (পিপিএমবার) জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কাজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও স্পর্শকাতর হলেও অপরাধ ও অন্ধকারজগত ছেড়ে আসা এসব পেশাদার জলদস্যু ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আগে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হবে, আত্মসমর্পণকারীদের জীবিকা ও সরকারী অর্থয়ানে স্বপরিবারে পূর্ণবাসনের ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এ দুঃসাহসিক কর্মে র‍্যাবের সাথে একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলের একজন প্রতিষ্ঠিত ও এবিষয়ে অভিজ্ঞ সাংবাদিক নেপথ্যে কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
মূলতঃ কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলকে অপরাধ ও জলদস্যু মুক্ত করা, এখানকার মানুষ ও মৎস্যজীবীদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা এবং এঅঞ্চলকে পর্যটকদের জন্য নিরাপদ অভায়ারণ্য করার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন।
মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান করার জন্য এখন ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ওসি জানান, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পুলিশের আইজি, র‍্যাবের ডিজি বেনজির আহমদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, র‍্যাব-৭ এর কমান্ডার, কোস্টগার্ডের কমান্ডার সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পুলিশ বিভাগের কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সশস্ত্র অপরাধী ও জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিয়মিত দেখভাল করছেন বলে ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন। এ উদ্যোগ সফল হলে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে জলদস্যুদের ভয়ানক উৎপাত বন্ধ হবে এবং এ অঞ্চলে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হবে বলে একজন উপকূল অপরাধ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।