হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়ি:
আবার নৌকা বিজয়ী হলে রামুর গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া তথা পুরো রামু উপজেলা উন্নয়ন জোয়ারে ভাসবে এবং এলাকায় একটিও কাচাঁ রাস্তা থাকবে না। আর বিএনপির সমালোচনা করে এমপি বলেন ‘বিএনপি আগের মত নেই। তাঁরা এখন কাগজের বাঘ। তাদের হুঙ্কারে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপির ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার যোগ্যতাও আছে বলে মনে হয় না।’
বৃহস্পতিবার ১৮ অক্টোবর দুপুর ২ টায় রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যাল চত্ত্বরে আয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ককসবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এই মন্তব্য করেন।
এসময় সাংসদ আরো বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই আওয়ামী লীগের জন্ম। নির্বাচিত হয়ে ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়বেন, কারো ভয় বা হুমকিতে নয়। সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলেই রামু-কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে রামু। বিগত সময়ে বিএনপির সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলকেও সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি উন্নয়ন না করে লুটপাট করেছেন। এই আসনে আবারও নৌকার জয় হলে দ্বিগুন উন্নয়ন হবে।’
কচ্চপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কচ্ছপিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সোহেল সিকদারের সভাপতিত্বে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ককসবাজার জেলা পরিষদ সদস্য সামশুল আলম চেয়ারম্যান, গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর আইসি মোঃ আলমগীর, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক নিতিশ বড়ুয়া, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল, জয়নাল আবেদীন মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী, কচ্ছপিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার, পরিচালনা কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন চৌধুরী, দাতা সদস্য জহির উদ্দিন বদরু, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মনজুর আলম, কচ্ছপিয়া ছাত্রলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দীন সিকদার, গর্জনিয়া যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহম্মদ, তাতীলীগ সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, সরোয়ার আলম, ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান, তানজিদ রায়হানসহ অনেকে। অনুষ্টান শেষে ককসবাজার জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্টানের নামে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়।