ফারুক আহমদ, উখিয়া:
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেওয়ার পর উখিয়ার সড়ক গুলো বেহাল দশায় পরিণত এবং ভয়াবহ যানজট লেগেই থাকে। ত্রাণ বাহি ও বাঁশ ভর্তি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক গুলো লন্ডভন্ড হয়ে যাতায়ত অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের মারাত্মক অবস্থার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)কে দায়ী করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

গত বুধবার সকালে বালুখালী কাষ্টমস অফিস সংলগ্ন ও থাইংখালী এলাকায় ত্রানবাহী ও বাঁশ ভর্তি ট্রাক বড় বড় থানা খন্দকে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে যায়। যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হয়। পুলিশ ও আইনশূংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামাল ও উল্টে যাওয়া ট্রাক অপসারণ করলে যান বাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সড়ক সংস্কার ও খানা খন্দক ভরাটের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে ও সড়কও জনগন বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও দূর্নীতির কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উখিয়ার অংশে ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা কুতুপালং, থাইংখালী, বালুূখালী, পালংখালী সহ বিভিন্ন স্থানের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার পর উখিয়ার সড়ক গুলোতে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য শত শত ত্রান বাহী ও বাঁশ, ইট, বালু, গাছ ভর্তি ট্রাক যাতাযতের কারণে সড়ক লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবার নামে আই এনজিও এবং দেশীও এনজিও এবং দাতা সংস্থার শত শত গাড়ি চলাচল বেড়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতাদের অভিমত আর্ন্তজাতিক সংস্থা গুলো রোহিঙ্গাদের জন্য হাজার হাজার মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিলেও সড়ক সংস্কারের জন্য তাদের নিরব ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তাজা প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য যাত্রী। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয় লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ চরম দাযিত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। গর্ত ও খানা খন্দক ভরাট না করে নাকে তৈল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন বলে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারু জামান চৌধুরী জানান, সড়কের দু’পাশে ৬ ফুট প্রস্থত করার জন্য বিশ্ব ব্যাংক অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বরাদ্দ আসলে সড়কের কাজ শুরু হবে।