শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ৪নং ঈদগাঁও ইউনিয়ন ২ বসতবাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ডাকাতদলের উপর্যপুরী দায়ের কোপে এক নারীসহ আহত হয়েছে দুইজন। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর ভোররাত ৩ টার দিকে ইউনিয়নের কালিরছড়া পুর্ব ভুঁতিয়া পাড়া এলাকার নুর আহমদ প্রকাশ মিরু ও নুরুল আমিনের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জনের পাহাড়ী সশস্ত্র ডাকাত দল এলাকায় এসে নুর আহমদ ও নুরুল আমিনের বসত ঘরে হানা দিয়ে লুটপাট চালিয়ে চাল, তরি তরকারী, নগদ টাকা, স্বর্নসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নুর আহমদের মেয়ে সেলিনা আক্তারকে দায়ের কোপ এবং ছেলে নবী আলমকে উপর্যপুরী মারধর করে। তাদের শোর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে পুর্বে গহীন জঙ্গলে ঢুকে পড়ে ডাকাত দল।

খবর পেয়ে ভোরে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আবুল কায়েস আখন্দের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে ডাকাত দলের সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ইনচার্জ আবুল কায়েস আখন্দ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাত দলের সম্ভাব্য আস্তানায় হানা দেওয়া হয়েছে। গহীন জঙ্গল হওয়ায় তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, বাইশারীর শীর্ষ পাহাড়ী ডাকাত আনোয়ার প্রকাশ আনাইয়াসহ তার বাহিনীর ৩ সদস্য বন্দুক যুদ্ধে মারা যাওয়ার পর অন্য একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিদিন কোন না কোন স্থানে হানা দিচ্ছে। অপহরণ পুর্বক মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও ঘটছে অহরহ। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের ভয়ে চাষারা ধান পাহাড়া দিতে পারছে না। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩০ হাজারও অধিক বাসিন্দা।