সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরে উদীচী কর্মী নাহিয়ানের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।
১৫ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরকৃত মামলায় ১ জনকে মূল আসামী করে আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা তালিকায় রাখা হয়েছে।
মামলার বাদি হয়েছেন নাহিয়ানের পিতা এডভোকেট খালেক নওয়াজ।
তিনি বলেন, শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলার শিকার তার পুত্র নাহিয়ান। দেরিতে হলেও মামলাটি নথিভূক্ত হওয়া পর দ্রুত সময়ে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, গত ৮ই অক্টোবর আহত নাহিয়ান সহ তার এক বন্ধু ফারুকসহ খেতে যান। এ সময় দুইজন ছেলে রেস্তোরায় প্রবেশ করে কোন রকম কথা ছাড়া নাহিয়ানের সাথে তর্ক জুড়ে দেন। এক পর্যায়ে নাহিয়ান কিছু বোঝে ওঠার আগেই তাকে রেস্তোরা থেকে বের করে এনে মারামারিতে লিপ্ত হয়। দ্রুতগতিতে তিনটি মোটর সাইকেলযোগে ছয় যুবক এসে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের সাথে যোগ দিয়ে নাহিয়ানকে হামলায় চালায়। সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারীকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটায়। এক পর্যায়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটায়। এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। নাহিয়ান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সে অবস্থাতে ও সন্ত্রাসীরা তাকে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে সে অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় রক্তাক্ত জঘম অবস্থায় পড়ে থাকে। সন্ত্রাসী ছিনতাইকারীরা নাহিয়ানের বন্ধু ফারুককে পিটিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ঘন্টাখানেক আটকিয়ে রেখে ছেড়ে দেয়। খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাহিয়ানকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
নাহিয়ান জানান, তার উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের তিনি চিনেন না। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসীরা তার কাছে থাকা ছয় হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। নাহিয়ান বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার সিটি স্ক্যানিং করা হয়েছে। মাথার আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।