ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর নাপিতখালী বনবিট এলাকায় বেপরোয়া হয়ে গেছে বনখেকো ও গাছচোর সিন্ডিকেট। তারা সামাজিক বনায়নের কাছ কেটে বিক্রি করছে বিভিন্ন বাজারে কিংবা স’মিলে। রাতের আধারে উজাড় করছে সরকারী বনাঞ্চল। বনবিভাগের চোখের আড়ালে বনের জমিতে নির্মাণ করছে বসতবাড়ী। এসব সরকারী সম্পদ লুটকারীদের বিরুদ্ধে এ্যাকশান নিতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে বনকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে পূর্বনাপিতখালী এলাকার ২০০০-২০০১ সালের পিএফডি বাগানের গাছচুরিতে বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বনপ্রহরী গাওহারুল জান্নাত ও জসিম উদ্দিন। গাওহারুল জান্নাতের শরীরের বেশ কয়েকস্থানে কোপাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় এই রিপোর্ট লিখাকালে তারা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দু শুক্কুর ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত গাওহারুল জান্নাত জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে গেলে প্রথমে সশস্ত্র হামলা করে শাহ আলম নামের এক বনখেকো। তার সিন্ডিকেটে রয়েছে নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরাইয়া, আবদুল হাফেজ, মনজুর আলম, আব্দুল মতলব, নুরুল আবছারসহ আরো ৫/৬ জন। তারা সবাই বন মামলাসহ বহু মামলার আসামী ও চিহ্নিত বন দখলকারী বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ফুলছড়ি রেঞ্জ অফিসার ছৈয়দ আবু জাকারিয়া জানান, ২০০০-২০০১ সালের পিএফডি বাগানের আকাশমনি গাছ কেটে নেয়ার সংবাদে নাপিতখালী বিট অফিসার আবুল কালামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় বনকর্মীরা। তারা পৌঁছার সাথে সাথে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী প্রকৃতির গাছ চোরেরদল হামলে পড়ে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগেও বেশ মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা হক মাহবুব মোর্শেদ জানান, গাছ চুরি একটা অপরাধ। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের উপর হামলা করা আরেকটা গুরুতর অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকারী সম্পদ লুটকারীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা।