নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ ‘সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী) স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার-২০১৮’ পেলেন কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরের আলী আহমদ।
১৩ অক্টোবর ঢাকা চীন-মৈত্রি সম্মেলনকেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমণ দিবসে তাকে স্বীকৃতি স্বরূপ আনুষ্ঠানিকভাবে একটি মেডেলসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল স্বাক্ষরিত সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
উপকুলীয় অঞ্চলে দুর্যোগকালীণ সময়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে আলী আহমদ।
কর্মদক্ষতার গুনে সফলতা অর্জনে সক্ষম হওয়ায় এবছর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচিত করা হয়েছে।
এরই আলোকে আর্ন্তজাতিক দুযোর্গ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক আলী আহমদের হাতে সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর উপজেলা হতে শ্রেষ্ঠ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক বাচাই কমিটির মাধ্যমে ইসলামপুর ইউনিয়নের টীম লিডার আলী আহমদকে নির্বাচিত করা হয়। নিয়মানুযায়ী তার নাম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও শ্রেষ্ঠ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক বাচাই কমিটির আহবায়ক হাবিবুল হাসান।
শ্রেষ্ঠ সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক আলী আহমদ দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করে আসছেন। সে হিসেবে তাকে সবাই আলী আহমদ সওদাগর হিসেবে চেনে ।
তিনি সদরের ইসলামপুরের ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর নাপিতখালীর বাসিন্দা মৃত আনুমিয়ার ছেলে ও কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এস.এম জসীম উদ্দিনের চাচা। বড় ছেলে মোঃ রায়হান সৌদি প্রবাসী।
এদিকে, শ্রেষ্ঠ ‘সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী) স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার-২০১৮’ পাওয়ায় আলী আহমদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন) এর বার্তা সম্পাদক ও ইসলামপুরের নতুন অফিস এলাকার বাসিন্দা ইমাম খাইর।
তিনি বলেন, এই অর্জন আলী আহমদের একার নয়, পুরো ইউনিয়নবাসীর। স্বীকৃতির মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীর সুনাম ও মার্যাদা বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুুতি কর্মসূচী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি যৌথ কর্মসূচী।
১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসের মহা প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুরোধক্রমে তৎকালীন লীগ অব রেডক্রস বর্তমানে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ’ বাংলাদেশের উপকূলীয় জনসাধারণের জান ও মাল রক্ষার্থে ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী প্রতিষ্ঠা করেন।