আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেসরকারি খাতে শ্রমিক নিয়োগে নতুন বীমা আইন কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়া নতুন এ আইনে শিথিল করা হয়েছে শ্রমিক নিয়োগের শর্ত।

আমিরাতের মানবসম্পদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, কোম্পানি মালিকদের শ্রমিক নিয়োগে যে জামানত জমা করতে হতো; এ আইনে তা কমিয়ে আনা হয়েছে।

দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী নাসের আল হামলি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার ও বেতনের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই নতুন এ আইনের লক্ষ্য। শ্রমিক নিয়োগ খরচ কমিয়ে কোম্পানিগুলোর ওপর থেকেও চাপ কমাবে আইনটি।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, আমিরাতের বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বীমা প্রকল্পের আওতায় শ্রমিক মাথাপিছু মাত্র ৬০ দিরহাম জমা দিতে হবে। দেশটিতে ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনতেও ভূমিকা রাখবে নতুন এ বীমা আইন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে স্বল্প খরচের বীমা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। গত রোববার দেশটির এ মন্ত্রণালয় বলছে, কর্মচারীদের বীমা ইস্যু কার্যক্রম ১৫ অক্টোবর শুরু হবে।

নতুন এ আইনে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে দেয়া অর্থের পরিমাণ কমিয়ে মালিকদের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগের আইনে, বেসরকারি খাতে নিয়োগের জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে ৩ হাজার আমিরাতি দিরহাম জামানত হিসেবে জমা করতে হতো।

নতুন আইন অনুযায়ী, আমিরাতের বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বীমা প্রকল্পের আওতায় শ্রমিক মাথাপিছু মাত্র ৬০ দিরহাম জমা দিতে হবে। দেশটিতে ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনাও নতুন এ বীমা আইনের লক্ষ্য।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানায়, অক্টোবরের মাঝ সময় থেকে স্বল্প খরচের বীমা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে। গত রোববার দেশটির এ মন্ত্রণালয় বলছে, কর্মচারীদের বীমা ইস্যু কার্যক্রম ১৫ অক্টোবর শুরু হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, কোম্পানিগুলো বীমা প্রকল্পের আওতায় এলে ব্যাংক গ্যারান্টির অর্থ ১৪ বিলিয়ন দিরহামে বিতরণ করবে। তবে ওয়ার্ক পারমিট পুনর্নবায়নের ছয় মাস আগে পর্যন্ত যেসব কোম্পানি বেতন সম্পর্কিত নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে তারা এই বীমা প্রকল্পের সুবিধা পাবে না।

মন্ত্রিসভার এক সিদ্ধান্তের পর গত জুন মাসে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ২০ হাজার দিরহাম বীমা নির্ধারণ করে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়। চাকরি শেষে, ছুটিতে থাকাকালীন, ওভারটাইম ভাতা, পাওনা মজুরি, বিমানের ফিরতি টিকেট ও আহত শ্রমিকের চিকিৎসার পেছনে এই অর্থ ব্যয় হবে।

নতুন এ আইনের বাস্তবায়নের জন্য দুবাই ইন্সুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে আমিরাতের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

সূত্র : খালিজ টাইমস।