উসমান গণি ইলি
রামুতে ছেলেধরা ভেবে মোঃ হাকিম (৫০) নামে ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ আলম (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সে রামু কাউয়ারখোপ ডিককুল এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। নিহত হাকিম নাটোরের বাসিন্দা কবিরাজের ছেলে।
১৩ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে রামুর কাউয়ারখোপ বৈলতলী এলাকায় মারধর করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন হাকিমকে। ১৪ অক্টোবর ভোর ৬ টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে কাউয়ারখোপ বৈলতলী এলাকায় একদল যুবক আড্ডাকালে এক ব্যক্তি তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। তাকে ছেলেধরা ভেবে যুবকেরা বেদম প্রহার করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্থানীয় লোকজন। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তি ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এঘটনায় পুলিশ মামলা করে। ওই মামলার প্রধান আসামী মোঃ আলম। আলমের নেতৃত্বেই ওই ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে হত্যা করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো কারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসি জানান, নিহত ব্যক্তিকে বেওয়ারিশ হিসাবে দাফন করা হয়।