ডেস্ক নিউজ:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ উপকূলে আঘাত হানার পর দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরআগে ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অন্ধ্রপ্রদেশে অন্তত ৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের পার্শ্ববর্তী উড়িষ্যায় আঘাত হানে তিতলি। এ সময় ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটারের বেশি বেগে বাতাসের পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাত হয়।

তিতলির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলের বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় তিতলি ছাড়াও এই একই সময়ে বিশ্বে আরও দু’টি ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মাইকেল যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে। আর কঠিন রূপ ধারণের অপেক্ষায় রয়েছে ঘূর্ণিঝড় লুবান। এটিও আঘাত হানতে পারে ভারতে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আট দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান।

এসব দেশের প্রস্তাব অনুসারে একটি তালিকা থেকে একটির পর একটি ঝড়ের নামকরণ করা হয়। যেমন তিতলির নামকরণ করেছে পাকিস্তান। তিতলি শব্দের অর্থ প্রজাপতি।

এরপরের ঝড়টির নাম হবে গাজা। এ নামটি প্রস্তাব করেছিল থাইল্যান্ড।

এ ছাড়া এ অঞ্চলের জন্য আরও ৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ইতোমধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেগুলো থেকে পর্যায়ক্রমে একেকটি ঝড়ের নামকরণ করা হবে।

গাজার পর আসবে ফেতাই। এ নামটি শ্রীলঙ্কার দেয়া। এরপরের ঝড়ের নামগুলো হবে- ফানি (বাংলাদেশ), ভায়ু (ভারত), হিকা (মালদ্বীপ), কিয়ার (মিয়ানমার), মহা (ওমান), বুলবুল (পাকিস্তান), পাবান (থাইল্যান্ড), আম্ফান (শ্রীলঙ্কা)।