আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মাইকেল। এর আগে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে মধ্য আমেরিকায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জন হন্ডুরাসের, চারজন নিকারাগুয়ার এবং তিনজন এল সাভাদরের। অপরদিকে ফ্লোরিডায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

ফ্লোরিডার কর্মকর্তারা বলছেন, গাডসডেন কাউন্টিতে একটি গাছ ভেঙে পড়ায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে সেমিনোল কাউন্টিতে একটি বাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ফ্লোরিডা থেকে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, অনেকেই সতর্কবার্তায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টিকে ক্যাটাগরি দুই বলা হলেও বুধবার সকালেই ঘূর্ণিঝড়কে ক্যাটাগরি চার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল। ফ্লোরিডার গভর্নর রিক স্কট সতর্ক করে বলেছেন, শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এটি। ঘূর্ণিঝড়টি এতটাই বিধ্বংসী যা অকল্পনীয়।

ঘূর্ণিঝড়ের আগের সব রেকর্ড থেকে দেখা গেছে যে, ১৮৫১ সালের পর ক্যাটাগরি চার মাত্রার কোন ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরিডায় আঘাত হানেনি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলের কাছাকাছি শহরগুলোতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন ভূখণ্ডে আঘাত হানা মাইকেল তৃতীয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টিকে ক্যাটাগরি চার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানামা সিটির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে সেখানে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।

ঘূর্ণিঝড়টি এখন জর্জিয়া এবং আলাবামার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ১৮৯৮ সালের পর এটাই প্রথম ক্যাটাগরি তিন মাত্রার ঝূর্ণিঝড়। যদিও ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমে যাচ্ছে তবুও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এর আগে ১৯৬৯ সালে মিসিসিপিতে হারিকেন ক্যামিলি আঘাত হানে।

ঘূর্ণিঝড় মাইকেলের প্রভাবে বুধবার বিকেলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় এই ঝড়কে তিন মাত্রার ঘূর্ণিঝড় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফ্লোরিডার পেনহ্যান্ডেল এলাকায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, ফ্লোরিডা, আলাবামা এবং জর্জিয়ায় আরও পাঁচ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।