শাহেদ মিজান, সিবিএন:
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এই উপলক্ষ্যে জরুরী সভাপতি বুধবার (১০ অক্টেবর) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত জরুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম । এছাড়াও পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ধেয়ে আসা ঘূূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় দুযোর্গ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকতে আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও দুযোর্গ অধিদপ্তরকে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত বলে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে কাজি আবদুর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে উপকূলের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা, তাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা, ওষুধ, সহ নানা প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করা হয়। একই সাথে উপকূলে বাস করা লোকজনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ ও সাগরে থাকা সব মাছধরার বোটগুলোকে উপকূলে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়। সবমিলে জেলা প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আবহাওয়ার পূর্বাবাস মেনে ঘূর্ণিঝড় তিতলি মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি হাতে রেখেছে। জরুরী যোগাযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলাসহ সব ধরণের প্রস্তুতি আমরা রেখেছি। আশা করি আমরা বিপদসংকুল কিছু মোকাবেলা করতে পারবো।’

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

তবে উপকূলীয় এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।