ফরিদুল অালম দেওয়ান, মহেশখালী:

কক্সাবাজারের মহেশখালীতে অজ্ঞাত অাঁততায়ির হাতে খুন হওয়া ব্যক্তির খুনি কথিত মামার সাথে নিহতের দুই সন্তানের স্ত্রীর ছিল পরকীয়া প্রেম। স্বামীকে খুন করার পর খুনি মামার সাথে গোপনে পালিয়ে গিয়ে এ অসম প্রেম শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়ায়। অতপর স্বামী হন্তারককে নিয়ে উদাও হয়ে অঘোর বন জঙ্গলের ভিতরে গহীন অরণ্যে ঢুকে সংসার পেতেও রক্ষা হলো না ওই ছলনাময়ী স্ত্রী ও খুনী পরকীয়া স্বামীর। গতকাল ৯ অক্টোবর পুলিশের দু:সাহসিক অভিযানে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে অাসলো হত্যাকান্ডের মুল রহস্য। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ার ছড়া গ্রামে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ার ছড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের পুত্র মো: অানচারের (৩৪) মৃত দেহ পাওয়া যায় মহেশখালীর শাপলাপুরের পাহাড়ী ছরায়। ঢলের পানিতে ভাসমান লাশটি উদ্ধার করে মহেশখালী থানা পুলিশ।  মহেশখালী থানা পুলিশের এস,আই দীপক বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর নেছারের ছোট ভাই জিয়া উদ্দিন লাশটি তার ভাইয়ের বলে সনাক্ত করেন। প্রাথমিক ভাবে লাশটি কেন কিভাবে ভেসে আসল বা কারা তার ভাইকে হত্যা করলো তার কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে নিহতের মা অাসমা খাতুন বাদী হয়ে নিহত নেচারের সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকা শাপলাপুর পশ্চিম রাখাইন পাড়া মৃত চ্যালেম্য এর পুত্র চেলারি মং, মাইয়মং   এর পুত্র  উলামা লুংকা মং এর পুত্র লুংকা মং, তার ভাই ইয়ামু মং, হোয়ানকের হরিয়ার ছড়া গ্রামের ছালেহ অাহমদ এর পুত্র শফিউল অালম,বাদশা মিয়ার পুত্র অাকতার হোছন ও আব্দু শুক্কুর এর পুত্র ইসহাক সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে নিহতের স্ত্রীর অাচার অাচরণে নিহতের মা ও ভাইদের সন্দেহ জাগে যে নিহত নেচারের স্ত্রীর সহিত হত্যা মামলার অাসামী নিহত নেচারের সঙ্গী সফিউল অালমের পরকীয়া থাকতে পারে। ঘটনার ১৫ দিন পরে নিহতের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী আচিয়া খাতুনও ২ সন্তান সহ উদাও হয়ে যায়। তারা জানতে পারে স্বামীর খুনী সফিউল অালমের সাথে নিহতের স্ত্রী বিয়ে করে মহেশখালী ত্যাগ করে লামা থানাধীন পাইতং ইউনিয়নের গভীর পাহাড়ে বসবাস করছে।

মহেশখালী থানার ওসি  ( তদন্ত) এ,কে,এম সফিকূল অালম চৌং জানান, ৯ অক্টোবর বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থেকে গিয়ে পাইতং লাকনা ঘোনা পাহাড়ের উপরে মোজাফ্ফরের ভাড়া বাসা থেকে তাদের দুজনকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করা অবস্থা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়স জিজ্ঞাসাবাদে নিহতের স্ত্রী তার স্বামী হন্তারক সফিউল অালমের সাথে বিয়ের কথা স্বীকার করে এবং পরকীয়ার জের ধরে সফিউল অালম ও তান সহযোগিদের সহায়তায় তার স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানান।