সংবাদদাতা:
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল কাউয়ারপাড়ায় জৈনক হায়দার আলীর বসতবাড়ীতে পরপর তিনবার রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও পুড়েছে ঘরের ঘেরাবেড়া। রাতের অন্ধকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত। ঘটনায় জড়িত কারো পরিচয় করা যায়নি বলে জানান বাড়ির মালিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আয়ুব আলী খান।
প্রথম ঘটনা ঘটে ২ অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে। দ্বিতীয় ঘটনা ৫ অক্টোবর সর্বশেষ তৃতীয় বারের মতো অগ্নিকাণ্ড হয় ৭ অক্টোবর। তবে, তিনবারের অগ্নিকাণ্ডে ঘরের কিছু ছেড়া কাপড়, পুরাতন শার্ট কিংবা পরিত্যক্ত পলিথিনের ঘরের ঘেরাবেড়া ছাড়া তেমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে একটি বসতবাড়ীতে কেন বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে তার কারণ জানতে গিয়ে বেশ কিছু রহস্যজনক কথা বেরিয়ে আসে। স্থানীয়দের ধারণা, হায়দার আলীর পারিবারিক শত্রুরাই ঘটনার সাথে জড়িত। এলাকার একটি সুত্র জানিয়েছে, হায়দার আলীর সাথে পার্শ্ববর্তী লোকদের সীমানা বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। সঠিক তদন্ত করলে মূল রহস্য বের হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, বসতভিটার জমিজামা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নাটক সাজানো হচ্ছে। না হলে তিনবারের অগ্নিকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কেন? সর্বশেষ ৭ অক্টোবর ফজরের সময় ঘরের পেছনের দরজা ভেঙে ভেতের ঢুকে আগুন দেয়ার ঘটনা কেউ দেখলনা কেন? বিষয়টি তদন্তের অপেক্ষ রাখে।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতার বসতবাড়ীতে বারবার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খুরুশকুল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কাজী দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন চৌধুরী ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুল করিম। তারা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, প্রথম দিনের ঘটনার সংবাদে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাদের বক্তব্য শুনেছি। যতটুকু জেনেছি, তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধ থেকে ঘটনা ঘটতে পারে। সঠিক তদন্ত করলে পেছনের রহস্য বেরিয়ে আসবে।