জুবাইর উদ্দিন, চবিঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘উত্তরায়ণ’ ছয় বছরে পদার্পণ করেছে। সাফল্যের ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে অর্ধদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২ নং গ্যালারিতে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি ফাতেমা আহমেদ কলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. হানিফ সিদ্দিকি, বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক কবি ময়ূখ চৌধুরী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক হাসান তৌফিক ইমাম, আগামী ল্যাবসের সিইও তসলিমা খানম এবং ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুকান্ত ভট্টাচার্য।

সংগঠনটির সদস্যদের সমন্বিত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সায়মা জান্নাত।বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. হানিফ সিদ্দিকি,বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক কবি ময়ূখ চৌধুরী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক হাসান তৌফিক ইমাম, আগামী ল্যাবসের সিইও তসলিমা খানম।

‘সকাতরে ঐ কাদিছে সকলে’ এ প্রার্থনা সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি।
একে একে আবৃত্তি, গান, নাচ, পুঁথিপাঠ, আঞ্চলিক পরিবেশনা, গম্ভীরা গান, লালন গীতি এবং সর্বশেষ শাশ্বত সুন্দর ও নবজাগরণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে “নোঙ্গর তোল তোল” পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অর্ধদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি।

‘বহতা সুন্দরের বাণীমূর্তি হোক, আলোকের প্রথম জয়ভেরি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সমকালীন সাহিত্য ধারার সাথে তাল মিলিয়ে সুস্থ সংস্কৃতির মেলবন্ধনকে সমুন্নত রাখতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুপ্ত সাংস্কৃতিক সত্ত্বার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে ২০১৩ সালে ‘উত্তরায়ন’ নামে সংগঠনটি আত্নপ্রকাশ করে। সংগঠনটি শুদ্ধ উচ্চারণ,উপস্থাপনা ও আবৃত্তি কর্মশালার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে । প্রতি বছর শত শত নবিশ শিক্ষার্থী এ সংগঠনে ভর্তি হয়।

সংগঠনটির সভাপতি ফাতেমা আহমেদ কলি বলেন, এ সংগঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতিকে চর্চা করা হয়। আর যতদিন এ সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত থাকবে ততদিন প্রগতিশীলতাও টিকে থাকবে ক্যাম্পাসে।