সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কক্সবাজার সরকারি কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা। নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি জাতীয়করণ, জাতীয়করণের আগ পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রদান, বেসরকারি কর্মচারীদের জাতীয়করণের ক্ষমতা নিজ নিজ কলেজ অধ্যক্ষের হাতে দেওয়া, নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কর্মচারিদের অগ্রাধিকার ও নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা। সারাদেশের সরকারি কলেজ সমূহের সাথে ঐক্য রেখে ৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন কর্তৃক এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, প্রতিটি সরকারি কলেজে নিয়ম অনুযায়ী মোট কর্মচারির ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ সরকারি কর্মচারি থাকার কথা। সেখানে এই সংখ্যা বর্তমানে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। আমরা ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে কলেজ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং সরকারি আদেশ যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে দিনরাত নিরলসভাবে শারীরিক ও মানসিক শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার বেসরকারি ভাবে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য কোন সহানুভুতি দেখায়নি। বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রেও কর্মচারীদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা রাখা হয়নি। তাছাড়া বর্তমানে কলেজ হতে আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে জীবনধারণ করা অত্যন্ত দুর্বিসহ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ১৯৪৯ সালে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের পক্ষে দাবি আদায় করতে গিয়ে বহিস্কার হয়েছিলেন। আপনি তার সুযোগ্য কন্যা হয়ে বর্তমানে সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী আপনি আমাদের কষ্ট বুঝে অতি দ্রুত সময়ে দাবিসমূহ মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়ন করবেন। আমরা বিশ^াস করি আপনি আমাদের আশাহত করবেন না। এ সময় বক্তারা নির্বাচনের আগেই দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, তাদের দাবিসমূহ অত্যন্ত যৌক্তিক। সরকারি কর্মচারির সংখ্যা খুবই নগন্য হওয়ায় বেসরকারি কর্মচারি ব্যতীত কলেজের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। তাদের অনেকের চাকরির বয়স ২০ বছরের অধিক। কিন্তু তাদের কর্মদক্ষতা ও আন্তরিকতা থাকলেও কলেজ অধ্যক্ষের হাতে চাকরি জাতীয়করণের ক্ষমতা না থাকায় এবং তাদের জন্য সরকারি কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা না থাকায় তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকার তাদের প্রতি সুনজর প্রদান করলে তারা সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবে এবং তাদের প্রাপ্য বেতন-ভাতাদি প্রদান করা হলে কলেজের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও আরো গতিশীলতা আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ স¤পাদক সাঈদুর রহমানসহ কক্সবাজার সরকারি কলেজে বেসরকারিভাবে কর্মরত সকল কর্মচারিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।