ডেস্ক নিউজ:
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। প্রথম-নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য যথাক্রমে লটারি, পরীক্ষা ও জেএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে করা হবে।

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) এক সভায় এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য সব প্রক্রিয়া ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। সে হিসেবে নভেম্বরের শেষে অনলাইনে আবেদন শুরু হবে। খুব শিগগিরই এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হবে।

এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক আব্দুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেই দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম-নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন জমা নেয়া হয়। রাজধানীতে ৩৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে তিনদিনে এ ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ফল প্রকাশ হয় ৩০ ডিসেম্বর। রাজধানীর ৩৫টি সরকারি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টিতে প্রথম শ্রেণি চালু আছে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির লটারি হয় ২৬ ডিসেম্বর। আর নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে।

প্রস্তাবিত নীতিমালায় সব সরকারি হাইস্কুলে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম বাধ্যতামূলক করার কথা আছে। এ ছাড়া আগের তিন বছরের মতো এবারও স্কুলের মোট আসনের ৫৯ শতাংশ কোটায় ভর্তির প্রস্তাব আছে। এগুলো হচ্ছে, ‘এলাকা’, ‘সরকারি প্রাইমারি স্কুল’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’, ‘প্রতিবন্ধী’ এবং ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী’ কোটা। গত বছর সরকারি স্কুলে আবেদনের ফি ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করে নেয়া হয়েছিল। তবে এবার ফি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা নেই।