আলমগীর মানিক,রাঙামাটি :

রাঙামাটির কাউখালীতে ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার পেশী শক্তির বাধাঁর মুখে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) সমিতির এর আসন্ন সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি বর্তমান সভাপতি আবুল মনছুর।

সোনালী ব্যাংক কাউখালী শাখায় ফরম ক্রয়ের লক্ষ্যে ৩০০০ টাকা জমা দেওয়ার পরেও চরম হুমকির মুখে উপজেলা নির্বাচন কমিটির কাছে গিয়ে ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি বলে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, আমি আমার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে কাউখালীস্থ নির্বাচন কমিটির সভাপতি বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছি।

মনসুর জানিয়েছেন, আমি বিআরডিবি’র এখনো কার্যকর সভাপতি হিসেবে রয়েছি। আগামী ৫ই নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সভাপতি নির্বাচনে আমি আবারো নির্বাচন করার মানসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিই। কিন্তু এরপর আমি আমার কার্যালয়ে বসতে পারছিনা। বিরাজমান পরিস্থিতিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলেও দাবি করেন মনছুর। এমতাবস্থায় আবুল মনছুর নির্বাচন স্থগিতের দাবিও জানান। পাশাপাশি তার নিরাপত্তা ও জানমালের নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক বেলাল (যিনি বিআরডিবির সাবেক সভাপতি ছিলেন) তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আমার চেয়ারে বসে থাকে। আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ থেকে বিরত রেখেছে। বিষয়ঠি মোখিকভাবে জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি বলেও জানিয়েছেন মনসুর।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিআরবিডি’র বর্তমান নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আশরাফুল রুমির যোগসাজসেই সাবেক সভাপতি বেলাল এহেন আচরণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিষয়টি দৃশ্যমান সত্যতাও মিলেছে প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে। সোমবার বিকেলে রুমির মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তিনটা পর্যন্ত অফিসে থাকবো এসময় যে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়াও মৌখিক অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা নিবো। জনাব রুমির সাথে প্রতিবেদক এই কথোপকথন শেষে ১০ মিনিট পরই যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই বেলাল প্রতিবেদককে ফোন করে পরিচয় জানতে চায়। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবারো জনাব বেলাল এর সাথে যোগাযোগ করে মনসুর কর্তৃক অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি এসবের কিছুই জানি না। তিনি বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনের সকলের উপস্থিতিতেই সোমবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। এক পর্যায়ে বেলাল বলেন, মনছুর বিএনপির রাজনীতি করলেও ছেলেটি ভালো। আমাকে মামা সম্বোধন করে। আমি কেন তার সাথে বিরোধে জড়াবো। আপনি নির্বাচিত হওয়ার আগে মনছুরের চেয়ার দখলে নিলেন কেন? এছাড়াও নির্বাচন কর্মকর্তা প্রতিবেদকের মুঠোফোন নাম্বার আপনাকে কেন দিয়েছে এবং কি করতে বলেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বেলাল জানান, কাউখালীর বিআরডিবি নিয়ে এতো উৎসাহ কেন? আমি রাঙামটি আসলে আপনার সাথে দেখা করবো বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।