মো: ফারুক, পেকুয়া: 

পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আবদুল হামিদ সিকদার পাড়ার শিক্ষক মো: ইউনুছের পুত্র মো: ফরহাদ উদ্দিন। গণিতে মাস্টার্স শেষ করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী কলেজে শিক্ষাকতা শুরু করেন। পেকুয়ার পিতার বাড়িতে ২০১৫ সালের ৬ মে রাত ৯টার দিকে গুলি করে হত্যা করে দূর্র্বৃত্তরা। থানার চার্জশিট অনুযায়ী হত্যাকারী  পেকুয়া সদরের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়াস্থ মৃত নুর আহমদের ছেলে ছালেহ জঙ্গি ছোটন ও স্ত্রী আছমাউল হুসনা। আদালতে চার্জগঠন হয়ে মামলা চলমানও রয়েছে। সাড়ে ৩ বছর পার হলেও মূল আসামী ছালেহ জঙ্গি ছোটন ও তার স্ত্রী আটক হয়নি আদালতে আত্মসমর্পণও করেনি। পুলিশের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে হত্যাকারীরা কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গেল।

পরিবারের দাবী হত্যাকারীরা বাংলাদেশে অবস্থান করলেও পুলিশের কাছে তথ্য নাই আসামী কোথায়। পেকুয়া থানায় ওসি আসে আর যায় কিন্তু পুত্রের হত্যাকারীকে আটকের কোন খবর পায়না। পুলিশ বড় বড় সন্ত্রাসী, স্বীকৃত অপরাধী ও আসামীদের আটক করলেও ফরহাদ হত্যাকারীকে আটক না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের আশায় পথ চেয়ে আছেন পিতা মো: ইউনুছ ও মা রাহেলা বেগম।

পিতা মো: ইউনুছ বলেন, পুত্র মো: ফরহাদ উদ্দিন খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে চট্টগ্রামে একটি কলেজে শিক্ষকতা শুরু করে। ২০১৫ সালের ৪ মে বাড়িতে আসে তার বিয়ের পাত্রী দেখার জন্য। ৬ মে তুচ্ছ ঘটনায় ছালেহ জঙ্গি ছোটনসহ আরো কয়েকজন গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এমনকি মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি পরবর্তি পুরো শরীরে ছুরিকাঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে ওই সন্ত্রাসীরা। হত্যা মামলা হয়েছে। ২জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনও হয়েছে। কিন্তু হত্যাকারী তার স্ত্রীকে নিয়ে সে যেই পালিয়ে গেল আর ধরা গেলনা। বারবার থানায় যায় আর আসি। পুত্রের হত্যাকারীর কোন খোঁজ আজও পায়নি। তার মা বারবার পুত্র শোকে বিলাপ করে বলে পুলিশ কেন তাকে আটক করছে না। পরিবারকে সান্তনা দিয়ে বলি আদালতে তাদের ফাঁসির রায় হবে। আমরা খুবই ভয়ভীতিতে থাকি সন্ত্রাসী ছোটন কখন আমাদের উপর হামলা করে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ তাকে দ্রুত আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হউক।

মামলার আইনজীবি এড. আমজাদ হোসেন বলেন, মামলাটি বর্তমানে বিচার শুনানীতে রয়েছে। আদালতের মাধ্যমে আসামীর বাড়ির মালামাল জব্দ করা হয়েছে। আশা করছি বিচার শেষে আসামীদের ফাঁসির রায় হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভুইয়া বলেন, পেকুয়া থানায় আমি নতুন যোগদান করেছি। ২০১৫ সালের মামলা। খোঁজখবর নিয়ে জানাতে পারব আসামী কেন আটক হয়নি।