সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা ও নাজেহালের ঘটনা ঘটেছে। ৬ অক্টোবর দিবাগত রাত ৮টার দিকে শহরের শহীদ সরণি এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায়। স্থানীয় সহায়তায় ওই শিক্ষক প্রাণে রেহায় পায়। ঘটনায় শিক্ষকমহলের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে দাবী তুলেছে অভিভাবক সমাজ। ভিকটিম হেলাল উদ্দিন পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সমিতিপাড়াস্থ কক্সন মাল্টিমিডিয়া স্কুলের সহকারী (ইংরেজি) শিক্ষক। তিনি ওই এলাকার মো. মুছা সওদাগরের ছেলে। এ ঘটনার জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হয়েছে শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের সহোদর মো. মহিউদ্দিন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, ক’দিন আগে স্কুলের ষষ্ট শ্রেনীর এক ছাত্রী পড়ালেখা আদায় না করতে পারায় সামান্য ভর্ৎসনা করেন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন। ক্ষুদ্র এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে ফায়দা লুটতে ওঠেপড়ে লাগে স্কুল বিরোধী একটি চক্র। ওই চক্রটি সনামধন্য শিক্ষক ও স্কুলের বদনাম করে বেড়ায়। বর্বরোচিত কায়দায় স্কুলের গেইট ভাঙচুর ও এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। স্থানীয় মোজাম্মেল নামের এক ব্যক্তি শিক্ষক হেলাল উদ্দিনকে মোবাইলে বেশ কয়েকবার দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে। অকথ্য, অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে। খুন করার হুমকি দেয়।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগি শিক্ষক হেলাল উদ্দিন সংবাদকর্মীদের বলেন, শহরের মধ্যম বাহারছড়াস্থ খুশি ভবন সংলগ্ন আমার পরিচালিত ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবে অবস্থানকালে মোজাম্মেলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত আক্রমণ করে পুরো এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। নাশকতার ঘটনা ঘটাতে অপচেষ্টা চালায়। তাদের কারণে পুরো এলাকাবাসী আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ইত্যবসরে আমার ছোট ভাই মহিউদ্দিনকে পথে একা পেয়ে হামলা করে। এতে সে আহত হয়। তার পকেটে থাকা ৩১৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। আতœরক্ষার্থে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে যায়। এরপর স্বজনেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা থানা পুলিশকে অবগত করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের বাসায় পুলিশ অভিযান চালালেও পালিয়ে যাওয়ায় কেউ আটক হয়নি।
আহত মহিউদ্দিন বলেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল দুর্বৃত্ত আমার উপর হামলে পড়ে। তাতে আমি মারাত্নক আহত হই। তিনি বলেন, ঘটনার সাথে মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার মোজাম্মেল, মুজাহিদ, জাহেদ, রাসেল, ইদ্রিছ, বাবুল, সাইদুল করিমসহ কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক জড়িত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।