টেকনাফ সংবাদদাতা :

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশ-বিজিবি-র‌্যাব পৃথক অভিযানে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬শ পিচ ইয়াবা  উদ্ধার করেছে।

এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ৮৩ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক সৈয়দ আলম ওরফে ভুট্রো (৩৬) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পূর্ব গুদারবিল এলাকার মৃত রহমত হোসেন ছেলে।

৭ অক্টোবর রবিবার পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ-বিজিবি-র‌্যার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টেকনাফ-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব। তিনি জানান, গোপন সংবাদের খবর পেয়ে রোববার সকালে তিনিসহ র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল টেকনাফ পৌরসভার রফিকুল কাদেরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সৈয়দ আলম ওরফে ভুট্রো (৩৬) কে আটক করা হয়েছে। পরে তার স্বীকারুক্তি মতে কাঠের নিচ থেকে পলিথিন মোড়ানো ৮৩ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাসহ আটক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে থানায় সোর্পদ করা হবে।

টেকনাফ পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া এলাকায় বঙ্গোপসাগরের পাড়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৪টি বস্তা পাওয়া যায়। পরে বস্তা গুলো কুলে দেখা যায় ৬ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ (সুপার উখিয়া) নিহাদ আদনান তাইয়ান জানান, মিয়ানমার থেকে সাগরপথে একটি বড় চালান আসার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াবার বড় চালান উদ্ধার করেছে। সাগরপাড়ে ৪টি পরিত্যাক্ত বস্তা পাওয়া যায়। বস্তা গুলো তল্লাশি করে ৬ লাখ ইয়াাবা উদ্ধার করা হয়। আনুমানিক মূল্য ১৮ কোটি টাকার ইয়াবা। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের ধারণা, পাচারকারিরা ইয়াবাগুলো ফেলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানায়, খোঁজ খবর নিয়ে ইয়াবা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে রোববার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়ার মেরিনড্রাইভ সড়কের অদূরে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা উদ্ধার করে বিজিবি। পরে বস্তাটি উদ্ধার করে ২ লাখ ১০ হাজার ইয়াবা পায় বিজিবি।

বিষয়টি জানান টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুল জামান চৌধুরী, সাগরপথে ইয়াবার চালান এনে মেরিনড্রাইভে তোলার খবর পেয়ে শনিবার রাত থেকে বিজিবি নোয়াখালীপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করে। পরে রোববার ভোরে মেরিন ড্রাইভ থেকে কিছু দূরে বঙ্গোপসাগরে একটি বস্তা ভাসতে দেখা যায়। পরে বস্তাটি তল্লাশি করে ২ লাখ ১০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় কাউকে পাওয়া যায়নি। ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৪ কোটি ৩০ লাখ।

বিজিবি অধিনায়কের ধারণা, পাচারকারিরা সাগরপথে ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো আসছিল মেরিনড্রাইভ সড়ক দিয়ে পাচারের জন্য। কিন্তু বিজিবির অবস্থান টের পেয়ে ইয়াবার বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। একারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।