জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের জোড়া লাগানো যমজ শিশু দুটিকে ঢাকায় নিয়ে গেছে একটি মানব কল্যাণ সংগঠন।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারী (২য় তলা) বিভাগের ২০৫নং ওয়ার্ডের ৮নং বেডে ভর্তি করানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘মানব কল্যাণে এসো কিছু করি’ সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন প্রকাশ দুঃখী ফারুক।

শিশু দুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জজর্রী গ্রামের আহমদ কবীরের ছেলে কৃষক মুহাম্মদ ইউনুচ তার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী হুসনে আরা বেগমকে নাজিরহাট কেয়ার পয়েন্ট হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। সেদিন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সফল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দু‘টির জন্ম হয়।

শিশু দু‘টির হাত ও মুখমন্ডল আলাদা আলাদা হলেও জোড়া লাগানো পেট আর পা। এ দু‘টি শিশুর আলাদা আলাদা হার্ট (হৃদপিন্ড) থাকলেও পায়ুপথ আর প্র¯্রাবের রাস্তা রয়েছে মাত্র একটি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ ধরণের শিশুকে কনজয়েন্ট টুইন কিংবা সিয়ামিজ টুইন বলে। গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জাহিদ মনজুরের নেতৃত্বে ডা. খায়রুল আমিন, ডা. বিপাশা শারমিন নিপা উক্ত অপারেশন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

ডাক্তারদের মতে ওই দুই শিশুকে আলাদা করতে কিংবা সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে তুলতে অবিশ্বাস্য ধরণের খরচ হতে পারে। কোন বিশিষ্ট শিল্পপতিরা এগিয়ে না আসলে, সরকারি সহায়তা না পেলে হয়ত শিশু দু’টিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।

স্থানীয় সুত্রে আরো জানা গেছে, কৃষক ইউনুচ শিশু দু’টিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তার পক্ষে শিশু দু’টির খরচ বহন করা সম্ভব হবে না হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ইউনুচ ও তার পরিবারের অন্যান্যরা মানুষের কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন।

মানব কল্যাণে এসো কিছু করি সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক হোসাইন বলেন, বড় শিল্পপতিদের সহযোগিতা ও সরকারি সহায়তা ছাড়া এমন জটিল রোগের চিকিৎসা করানো কৃষক মুহাম্মদ ইউনুচের পক্ষে কষ্টসাধ্য।’

যারা জমজ শিশুটির চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে চান তারা যোগাযোগ করতে পারেন এই দুটি ০১৮১৯-৬২৩৭২৩/ ০১৮৭৪-৪৬১২৮৪ নাম্বারে।