বিদেশ ডেস্ক:
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ইদলিবের সেনামুক্ত অঞ্চল থেকে অস্ত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বিদ্রোহীরা। তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহীদের দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এক কমান্ডার বলেন, শনিবার সকাল থেকেই ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই কার্যক্রম চলবে।

ইদলিব সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি। বিগত কয়েক মাসে সামরিক হামলা জোরালো করার মধ্য দিয়ে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে আসাদ বিদ্রোহীদের সরিয়ে দেওয়া হলে তারা ইদলিব প্রদেশে জড়ো হয়। ২০১৫ সাল থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে বিদ্রোহীরা। তবে দৃশ্যত ভয়াবহ বিমান হামলার মাধ্যমে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছে রাশিয়ার মিত্র আসাদ বাহিনী। ইরান ও রাশিয়া দুই দেশই পুরো সিরিয়ার ওপর আসাদ বাহিনীর কর্তৃত্ব দেখতে চায়। বিপরীতে আসাদ বাহিনীর হামলা থেকে বেসামরিক জনগণকে সুরক্ষার ওপর জোর দেয় তুরস্ক।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার পর্যটন নগরী সোচিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। বৈঠকে ইদলিব অঞ্চলে রুশ ও তুর্কি সেনাদের মধ্যে একটি অসামরিকীকৃত অঞ্চল বা সেনামুক্ত অঞ্চল ঘোষণার ব্যাপারে দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা হয়। এ সমঝোতা চুক্তিকে স্বাগত জানায় ইরান।

ওই কর্মকর্তা জানান, তুর্কি সমর্থিত ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর লিবারেশন বিদ্রোহীরা রকেট লাঞ্চার ও আর্টিলারি বাহন ২০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে আনবে। তিনি বলেন, হালকা অস্ত্র ও মেশিনগানগুলো আগের অবস্থানেই থাকবে।

তিন দেশের এই সমঝোতায় আসাদ সরকার বড় এক হামলা থামিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছিলো, এই হামলা হলে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি তৈরি হতে পাতো।

তবে এই চুক্তির সঙ্গে একমত কি না তা এখনও জানায়নি অঞ্চলের প্রধান সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী তাহরির আল শাম।