জাহাঙ্গীর আলম, ইনানী

উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছোয়াংখালী ও ইমামেরডেইল গ্রামে ১৮/২০ জন মুখোশধারী ডাকাত দল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত ৮টি বসতবাড়ীতে গনডাকাতি চালিয়েছে। এসময় ডাকাতেরা ব্যাপক ভাংচুর করেছে। লুটপাট করেছে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা। গ্রামবাসী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতেরা ফাঁকা গুলি বর্ষন করে। এসময় ইমামেরডেইল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আবুল কাশেম (২৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ডাকাতের লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছে নুরুল ইসলাম (৪৫)। তাদেরকে ইনানী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।

উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) ও সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থল ছোয়াংখালী ও ইমামেরডেইল এলাকা ঘুরে দেখা যায় একটি ভীতিকর পরিবেশ। দুটি গ্রামের শতশত মানুষ একত্রিত হয়ে ডাকাতের কবল থেকে কি ভাবে সহায় সম্পদ রক্ষা করা যায় তা নিয়ে আলাপ আলোচনা ও প্রতিরোধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে। এসময় সেখানে উপস্থিত জালিয়াপালং কমিনিউটি পুলিশের সভাপতি শহিদুল্লাহ কায়সার জানান, ডাকাতেরা ছোয়াংখালী গ্রামের মৃত মিয়া হোছনের ছেলে জাফর আলমের বসতবাড়ী, ভোয়াংখালী গ্রামের মৃত জাফর আলমের ছেলে কলিমুল্লার বাড়ী, ছোয়াংখালী গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে মোঃ হোছনের বাড়ী, ভোয়াংখালীর মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে মোঃ হোছনের বাড়ী, ইমামের ডেইল মৃত আজগর আলীর ছেলে নুরুল আলমের বাড়ী, ইমামের ডেইল আব্দুল করিমের ছেলে মনু মিয়ার বাড়ী, নুরুল ইসলামের বাড়ী, লাল মিয়ার ছেলে নুরুল হক ড্রাইভারের বাড়ী ও নাছির উদ্দিনের ছেলে মোঃ হোছনের বাড়ীসহ ৮টি বসতবাড়ীতে গনডাকাতি চালিয়ে তাদের সহায় সম্বল লুটপাট করে নিয়ে গেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইনানী পুলিশ ফাঁড়ি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীকে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে আসার জন্য বারবার মুঠোফোনে ডাকাতের অবস্থান সম্পর্কে জানালেও তারা এগিয়ে আসেনি। ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির বেশ কয়েকজন পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই ডাকাতেরা ডাকাতি শেষ করে চলে যায়।

এব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ খায়রুজ্জামান জানান, উপকূলবাসীকে ডাকাতের কবল থেকে রক্ষা করে যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।