শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজার চলমান উন্নয়ন মেলায় দর্শনার্থীদের ভীড় দেখা গেছে। মেলার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অনেক দর্শকের সমাগম ঘটে। সেবা প্রত্যাশীর চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি ছিলো। তারপরও সেবা প্রত্যাশী মোটামুটি ছিলো বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। মেলায় দর্শনার্থীদের মধ্যে শিশু থেকে সব স্তরের লোকজন ছিলেন। এসব দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টল দেখেন এবং বিনোদন নিয়েছেন।

বিকালে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ছুটির দিন থাকায় পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসেন মানুষ। এতে মেলার স্থলজুড়ে বাচ্চাদের হুড়োহুড়ি বেশ চোখে পড়েছে। তাদের সাথে মা-বাবারাও এসেছে। সেই সাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল শিক্ষার্থী, চাকরিজীবিসহ নানা স্তরের দর্শনার্থী চোখে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টলগুলো মধ্যে বেশকিছু স্টল দর্শনার্থীদের দারুণ বিনোদন দিচ্ছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সেনাবাহিনীর স্টলটি। সেনাবাহিনীল স্টলটি ঘিরে সেলফি আর ছবি উঠাতে দেখা গেছে বেশ। এছাড়া বিমান বাহিনী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ কয়েকটি স্টল অত্যন্ত দারুণ ভাবে সাজানোয় সেসব স্টলে দর্শনার্থীরা ভীড় করেন। পাশাপাশি সেলফিসহ নানাভাবে ছবি তুলেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই স্বপরিবার ছিলো। অন্যদিকে সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে ছিলো কক্সবাজার সিভিল সার্জনের স্টল। এই স্টল ঘিরে সেবা প্রত্যাশীদের চরমভাবে লেগে ছিলো। সেখান থেকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা সেবা ও তথ্য পেয়েছে গ্রাহকেরা। মেলায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে সব সরকারি বিভাগ, বাহিনী, সংস্থা, দপ্তর, পরিদপ্তরের স্টল ছিলো। যেকোন মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে জানতে পেরেছেন। সরকারি কোন দপ্তরের কোন ধরনের সেবা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে অনেক স্টলে কাঙ্খিত সেবা ও তথ্য মিলেনি।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানান, বৃহস্পতিবার পুরো দেশের সাথে সমন্বয় রেখে কক্সবাজারের সরকারের উন্নয়ন মেলার জমকালোভাবে শুরু হয়। মেলার শুরুর পর প্রথম দিনেই অনেক দর্শনার্থী ও সেবা প্রত্যাশীর সমাগম ঘটে। দ্বিতীয় গতকাল শুক্রবার বেশি সংখ্যক জনসমাগম ঘটে। সবাই নিজেদের কাঙ্খিত সেবা ও বিনোদন নিয়েছেন। এসময় তাদেরকে অনেক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। বিকালে এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার হোসেলসহ অন্যান্য অতিথিরা।

সন্ধ্যার পরে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন শিল্পীরা এতে গান পরিবেশন করবেন। এছাড়াও ছাড়াও রাখাইন ও স্থানীয় শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। মেলার শেষ দিনে থাকবে উন্নয়ন কর্মকা-ের লেজার শো এবং আতশবাজি।