মোঃ আবু সায়েমঃ


সারা বাংলাদেশের মতো কক্সবাজারে জাতীয় ৪র্থতম উন্নয়ন মেলা জমকালোভাবে উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধনের ২য় দিনে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এবারের উন্নয়ন মেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্টলটি আগত দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।কক্সবাজারে বৃহৎ পরিসরে বাহারছড়া গোল চত¦রে উক্ত ৪র্থতম জাতীয় উন্নয়ন মেলার শুভ সুচনা হয়। মেলায় সরকারি বিভাগের সকল বিভাগ স্টল প্রদর্শন করে। স্টলগুলোর মধ্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্টলটি ব্যতিক্রমধর্মী!৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্র্তৃক ৪টি মহিলা ও ৪টি পুরুষ মোট ৮টি মোবাইল টয়লেট, ৪টি নলকূপ স্থাপন,২টিতে ৬নং হ্যান্ড পাম্প লাগিয়ে খাবার পানি সরবারাহ এবং ২টিতে মটর লাগিয়ে টয়লেট সমুহে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া স্টলে রয়েছে বিনামুল্যে পানির গুনাগুন পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারী ল্যাট্রিন ব্যবহারের বিষয়ে ধারণা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কর্মকান্ডগুলো যাতে মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপলব্দি করতে পারে সেজন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেলায় দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আগত দর্শনার্থীদের, বর্তমান সরকারের সফলতার কর্মাকেন্ড স্থির চিত্র গুলো প্রদর্শন করছেন। এমন ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে বিস্মিত হয়ে, জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ঋত্বিক চৌধুরী বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কর্মকান্ডগুলো যাতে মানুষ উপলব্দি করতে পারে সে জন্য এবারের উন্নয়ন মেলাকে আমরা খুব গুরুত¦ভাবে আগত দর্শনার্থীরা যাতে প্রত্যক্ষ করতে পারে সেজন্য বিনামূল্যে পানির গুণাগুণ ও বিশুদ্বকরণ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা এবং স্যানিটারী ল্যাট্রিন ব্যহারের বিষয়ে ধারণা প্রদান করছি। আমি আশা করছি সামগ্রিক বিষয়াবলিকে চিন্তা করে এবারের উন্নয়ন মেলায় আমাদের স্টলটি সেরা স্টল হিসেবে পুর¯কৃত হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক মিয়ানমার থেকে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের তাৎক্ষণিক জরুরী পানি সরবরাহ ও স্যানিটারী ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শুরুতেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিজস্ব ১৪ টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং ৭টি ওয়াটার কেরিয়ারের মাধ্যমে এবং রাস্তার পাশের্^ ১০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং ক্যাম্পের ভিতরে ২টি ৫০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির ট্যাংক বসিয়ে বিশুদ্ব খাবার পানি সরবরাহ করা হয়।পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ৫১০০টি স্যানিটারী ল্যাট্রিন, ৩৩০০টি নলকুপ , ২টি উৎপাদক নলকূপ, ৪ কক্ষ বিশিষ্ঠ ২৫০টি গোসলখানা স্থপান করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ৪টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপনের কাজ, এবং ১০০টি গোসলখানা নির্মাণ কাজ অপেক্ষমান। এছাড়া, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় ১১টি উৎপাদক নলকূপ, ৩০০০ টি নলকূপ, ৩০- কিলোমিটার পাইপলাইন, ১০টি কমিউনিটি টয়লেট, ও ২টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে, এবং ২৭টি কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।বর্তমানে সংসদ সদস্যদের চাহিদার আলোকে কক্সবাজর জেলায় বিভিন্ন্ উপজেলায় ১২০০টি নলকূপ ও ৪টি পাবরিক টয়লেট স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়ধীন। এছাড়া আগত রোহিঙ্গাদের জন্য এডিবি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য ৭৫০কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপক্ষোয়। প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংলাদেশ গড়তে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্দেশক্রমে কক্সবাজার জেলায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করতে আমাদের শারীরিক ও মানসিক কার্য়ক্রম অব্যাহত থাকবে।