প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চার সন্তানের জননী চেনুআরা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূ যৌতুকের দাবীতে স্বামী কর্তৃক মারধর ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার সময় ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শুকমুনিয়া পূর্ব পাহাড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মন্টু নামের এক যুবক জানান, রবিবার রাতে চেনুআরাকে বাপের বাড়ী থেকে টাকা এনে না দেওয়ায় লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে ধানক্ষেতে ফেলে দেয় তার স্বামী।
চেনুআরার এক আত্মীয় সেলিনা আক্তার জানান, গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বোমাং খিল গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের মেয়ে চেনুআরা বেগমের সাথে দীর্ঘ ৮ বছর আগে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয় কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমুনিয়া গ্রামের মোঃ ইলিয়াছের ছেলে আব্দু রহিম (৩২) এর সাথে।
বিবাহের ২/৩ বছর সুন্দর ভাবে চলে তাদের ঘর সংসার। এর মধ্যে স্বামীর কথায় পিতাহারা অসহায় চেনুআরা মা এবং ভাইদের কাছ থেকে বেশ কয়েকবার ১০ হাজার, ৫ হাজার টাকা এনে দেন। গত কিছু দিন হইতে তাকে বাপের বাড়ী থেকে যৌতুক হিসাবে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন রহিম।
টাকা এনে না দেওয়ায় শুরু হয় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন। সর্বশেষ রবিবার তাকে মারধর করে ধানক্ষেতে ফেলে দিলে বাচ্চাদের আত্মচিৎকারে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।জানতে চাইলে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর পরিদর্শক মোঃ আলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি শুনেছি,তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ বিষয়ে আব্দু রহিম থেকে জানতে চাইলে তিনি যৌতুকের কথা অস্বীকার করেন এবং মারধরের কথা স্বীকার করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।