ডেস্ক নিউজ:

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারসহ ১৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সেইসঙ্গে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনার জন্য একটি প্রকল্প সংশোধন করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ২১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৮ হাজার ৪৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৪৪৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ২৯০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্য রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনুমোদিত প্রকল্পের মাধ্যমে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর ২২৭ কি.মি. দৈর্ঘ্যে ১০০ মিটার প্রস্থ ব্যাপী ড্রেজিং এর মাধ্যমে ৩ মিটার গভীর করে নৌপথটি ক্লাস-২ নেভিগেশনাল রুটে উন্নীত করা হবে।

একনেক সভায় ১ হাজার ২৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (আরওএসি)-২য় পর্যায় (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয়েছে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত বাস্তুহারাদের আশ্রয় দেওয়ার ফলে কক্সবাজার জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম নাজুক হয়ে পড়েছে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার করা হবে। তাছাড়া বাস্তুহারা দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুকে তাদের নিজস্ব ভাষায় বা ইংরেজিতে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং মনোসামাজিক সহায়ত প্রদান করা হবে। প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংক বাড়তি আড়াই কোটি ডলার অনুদান দিতেও সম্মত হয়েছে।

এছাড়া একনেক সভায় কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়) (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২ হাজার ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়ক উন্নয়নে (চট্টগ্রাম অংশ) ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এছাড়া ভূরুঙ্গামারি-সোনাহাট স্থলবন্দর-ভিতরবন্দ-নাগেশ্বরী মহাসড়কের দুধকুমর নদীর উপর সোনাহাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, জার্মানির বার্লিনে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িঘাটে গুঁড়ো দুগ্ধ কারখানা স্থাপন প্রকল্প (১ম সংশোধিত), সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প, মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন রাজাপুর ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন রক্ষার্থে তীর সংরক্ষণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি ও হাটহাজারী উপজেলায় হালদা নদী ও ধুরং খালের তীর সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচের উন্নয়ন প্রকল্প, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্প এবং গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।