নিউজ ডেস্ক:
মানুষের মাথার খুলির আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, ২০১৫ সালে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা মাথার খুলির মতো আকারের এই মৃত ধূমকেতুটি ২০০০ ফুট চওড়া ছিল। এ বছর ১১ নভেম্বর ধূমকেতুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে।

তবে গুজবটি নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টিভি চ্যানেল সিএনএন। মহাকাশ সংস্থাটির বরাত দিয়ে চ্যানেলটি বলছে, এখনওই পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে গ্রহাণুটি ধেয়ে যাবে না। গেলেও সেটি বড়জোর একটি আলোকবিন্দুর মতো দেখা যেতে পারে। নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের ম্যানেজার পল চোডাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর মহাকাশের এই ‘পাথর’টিকে প্রথম দেখে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। নাম দিয়েছিল– ‘অ্যাস্ট্রয়েড২০১৫ টিবি১৪৫’। এরপর নাসা এই মৃত ধূমকেতুটির নাম দেয় ‘গ্রেট পাম্পকিন’। সে বছর হ্যালোয়িন উৎসবের সময় এই মৃত ধুমকেতুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫ লাখ কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে গিয়েছিল।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের চারিদিকে ঘোরার ফলে ধূমকেতুটির গা থেকে বরফের আস্তরণ খসে গিয়েছে। এছাড়া সময়ের ব্যবধানে ধূমকেতুটির আকার-আকৃতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ বছর পৃথিবী থেকে ২৫০ লাখ মাইল দূর দিয়ে ধেয়ে যাবে গ্রহাণুটি। ফলে সহজেই অনুমেয়, এত দূর দিয়ে যে গ্রহাণুটি ধেয়ে যাবে, সেটি দেখতে কেমন হবে।