ফারুক আহমদ, উখিয়া :

সৌদি আরবে আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম কোম্পানি (৫৫) নামক এক বাংলাদেশী প্রবাসীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে জিম্মি করে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের রুমখাঁ পশ্চিম বড় বিল গ্রামের মৃত বাচা মিয়ার পুত্র।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব সিরাজুুল ইসলাম কোম্পানি সৌদি আরবে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে আসতেছে। অতি সম্প্রতি ভিসা দিয়ে সৌদি আরবে লোক নেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি গ্রুপ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে শত্রুতা মূলক তাকে নানা ভাবে হুমকি-ধমকি সহ জোর পূর্বক ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনা সংঘটিত করেছে। রামু থানার পুলিশের উপর হামলা মামলার আসামি কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিয়াউল করিম ও তার পিতা আবুল কাশেম পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জিম্মি করে সিরাজের নিকট হতে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, রামু উপজেলার জোয়ারিয়া নালা এলাকার সৌদি প্রবাসী আবুল কাশেম কয়েক মাস পূর্বে ৫ জন লোক সৌদি আরবে নেন। সৌদি কপিলের সহয়তায় ভিসার প্রসেসিং কাজটি মধ্যস্থতা করেন আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম কোম্পানি। যথা রীতি ভিসা নিয়ে ৫ জন লোক সৌদি আরবে গমন করেন। তৎমধ্যে ১ জন ওয়ার্ক পারমিট নিলেও ৪ জন লোক লেবার কোর্টে সৌদি সরকারের ধার্যকৃত ফি: জমা না দেওয়ায় ওয়ার্ক পারমিট বা একামা সংগ্রহ করেনি। তবে তারা নিয়মিত কাজ করে টাকা আয় সহ ওমরা এবং হজ্বও পালন করেছে। কিন্তু একামার সরকারি ফিস আদায় করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে সিরাজুল ইসলামকে চাপ প্রয়োগ সহ হুমকি দিয়ে আসছিল আবুল কাশেম ও তার বাহিনী।

অভিযোগে প্রকাশ, ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে লোক নেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ অক্টোবর আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলামকে মিছফালা ইব্রাহিম খলিল রোড়ে অবস্থিত আল-রাউবা নামক হোটেলে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ৪টি অলিখিত ১শত টাকার ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নিয়েছে আবুল কাশেম ও তার পুত্র।

সৌদি প্রবাসী আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলমা বলেন, মূলত আবুল কাশেম রামুর বাংলা বাজার এলাকার রোজ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মনির আহমদের মাধ্যমে ৫ জন লোককে সৌদি আরবে নেন। এদের মধ্যে তার ছেলে বহু মামলার আসামি জিয়াউল করিমও রয়েছে। তাদের কাছ থেকে ভিসা বাবদ সাড়ে ৫ লক্ষ থেকে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা আদায় করে। তৎমধ্যে ট্রাভেল এজেন্সিকে বিমান ভাড়া বাবদ ১ লক্ষ টাকা প্রদান করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি কেবল সৌদি কপিলের (মালিক) পরিচিত হিসাবে মধ্যস্থতা করেছি। এতে আমার কোন লাভ লোকসান নেই। এর পরও সৌদি সরকারের ধার্যকৃত একামার ফিস আমার কাছ থেকে অযৌক্তিক ভাবে দাবি করলে আমি অসম্মতি জানায়। মূলত আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় ও মারাত্মক ক্ষতিসাধন করার কু-উদ্দেশ্যে হোটেলে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে আবুল কাশেম তার সন্ত্রাসী পুত্র আমাকে জিম্মি করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করেছে। ঘটনাটি সৌদি আরবে বসবাসরত টেকনাফের দিল মোহাম্মদ সহ অনেকেই জানেন।