ইমরান হোসেন মুন্না


জীবনে সফলতার থেকে অনেক বেশি
ব্যর্থতা দেখেছি আমি। আজ আমি যা কিছু তা শুধু সেই ব্যর্থতার কারণে। বহুবার হোঁচট খেয়েছি, আছড়ে পড়েছি, রক্তাক্ত হয়েছি। কিন্তু হার মানিনি। আবার উঠে দাঁড়িয়েছি, লড়াই করেছি। প্রত্যেকটা ব্যার্থতার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েছি নতুন ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার। নতুন করে ভাবার।

আমাদের ব্যার্থতাগুলো আসলে আমাদের চেষ্টা।যে মানুষটা বলে সে কখনো ব্যর্থ হয়নি, আসলে সে কখনো চেষ্টা করেনি, সে কখনও সফল হয়নি। যে সফলতা খুব সহজে চলে আসে, চেষ্টা ছাড়াই, মনে রাখবেন তার রেশ খুব স্বল্প। আমেজ ও। তাই ঢেউ যত বড় হয়, তত শক্ত করি পায়ের বাঁধন। আছড়ে পড়া ঢেউকে ফেরত পাঠিয়ে এগিয়ে যাওয়াই তো সফলতা।

আমরা সবাই সফল হতে চাই। আমরা সবাই সফল মানুষদের পিছনে ছুটি। কিন্তু আমার পছন্দের মানুষ তারাই যারা জীবনে ততটা সফল নয়, কিন্তু জীবনের প্রত্যেকটা প্রতিকূলতার সামনে কোনোদিন মাথা নিচু করেনি। বা তারা, যাদের নামযশ,টাকাকড়ি, খ্যাতি নেই বলে তারা শত চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি।

যে মানুষটা কাঁপা কাঁপা,অপটু,কাঁচা হাতে প্রথম কবিতা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করে, লোকে তার লেখায় হা হা দিয়ে আসে, আমি তার লেখায় একটা লাভ দিয়ে আসি। লেখার জন্য নয়, ‘লিখবো’ এই চেষ্টাটুকুকে সাহসিকতা জানানোর জন্য।

তাই প্রিয়বন্ধু, আজ যদি তোমার জীবন অন্ধকারে ঢাকা থেকে, তবে মন খারাপ করোনা। উঠে দাঁড়াও, পা চালাও, আলোর দিকে ছুটে যাও। পড়ে যাও, ব্যাথা পাও,আবার ওঠো,দৌড়াও। মনে রেখো দুটো বোবা মানুষও কিন্তু অন্ধকারে কথা বলার পথ আবিষ্কার করেই নেয়।

নিজের ভাঙাচোরা অংশগুলো জোড়া লাগাও, পরাজয়গুলোকে কাঁধে তোলো, ভুলগুলোর হাত ধরে সামনে এগিয়ে যাও। আর পাশের কোনো হার স্বীকার করে নেওয়া ব্যর্থ মানুষের কাঁধে হাত রেখে এই দুটো লাইন শুনিয়ো –

দশবার পড়ো যদি, বারোবার ওঠো…
ব্যর্থতার পাথুরে পথে ফুল হয়ে ফোটো।

মনে রেখ টার্গেট থেকে দু পা পিছিয়ে এসো কিন্তু টার্গেট মিছ করোনা।