ডেস্ক নিউজ:
বিএনপির ঘোষিত সাত দফা দাবিকে অযৌক্তিক ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) এই সাত দফা দাবি অযৌক্তিক ও অবাস্তব এবং কোনো কোনোটি সংবিধানবিরোধী, কাজেই এসব অবাস্তব দাবি এই সময়ে, নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার আর মাত্র এক মাস বাকি এর মধ্যে মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা নিজেরাই ক্ষমতায় থাকলে এই সময়ের মধ্যে দাবিগুলো মেনে নিতে পারত না। অসংবিধানিক দাবি কেউ মেনে নিতে পারে না।’

সোমবার রাজধানীর গুলশান-২-এ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে টানা সাত দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের গণসংযোগ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গতকাল (রোববার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাত দফা দাবি ঘোষণা করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দাবিগুলো তারা শুধু বলার জন্য বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে এসব আবোল-তাবোল বকছে। তারাও জানে এই দাবিগুলো মেনে নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা জনগণের কাছে যাব, কিন্তু উত্তেজনা ছড়াব না। আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, নিরীহ কর্মসূচি পালন করবে। আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মসূচি। আমরা কোনো ধরনের উত্তেজনা ছড়াব না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা মারামারি হানাহানি, পাল্টাপাল্টির মধ্যে নেই। তবে বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি সহিংসতা, নাশকতা করে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করব। এটাই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।’

অক্টোবর মাসে বিএনপি রাজপথ দখলের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজপথ দখল করবে! রাজপথ কে দখল করতে আসে দেখব। রাজপথ দখল করতে আসলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সহিংসতা, নাশকতা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। গণসংযোগে কোনো প্রার্থীর নয়, গণসংযোগ হবে নৌকার। পরিচালনা করার জন্য সকল ওয়ার্ড, মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে শুরু হচ্ছে এটাই প্রথম প্রোগ্রাম।

ক্যামেরার সামনে লোক দেখানো গণসংযোগ করবেন না বলেও নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি।

‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজনে শয়তানের সঙ্গে জোট করব’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শয়তানের সঙ্গে জোট করে তারাই, যারা নিজেরাই শয়তান।’

ওবায়দুল কাদের ছাড়াও গণসংযোগে অংশ নেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, রিয়াজুল কবীর কাওছার, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, ঢাকা মহানগর উত্তরে সধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান, কোষাধ্যক্ষ ওয়াকিল উদ্দিন, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।