প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
১ অক্টোবর কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূত অধিদপ্তর কক্সবাজার ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিসের যৌথ আয়োজনে বিশ^ বসতি দিবস পালিত হয়েছে।
১৯৮৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৮৬ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ১ম সোমবার বিশ^ব্যাপী বিশ^ বসতি দিবস উদ্যাপিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশে বিশ^ বসতি দিবস ২০১৮ উদ্যাপিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় কউক এর চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ এর নেতৃত্বে কউক অফিস থেকে বর্ণাঢ্য সাজে একটি র্যালী বের হয়ে লাবনী মোড়, বাহারছড়া সিরাজ নাজির রোড, পুলিশ সুপার র্কাযালয় মোড় হয়ে কউক অফিসে এসে শেষ হয়। এ সময় র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন কউকের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, গণপূত অধিদপ্তর, কক্সবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ, কউক এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফজলুল করিম, কউক এর সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শেখ ছাদেক, কউক এর উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ জনাব জাহাঙ্গীর আলী, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস এর সিনিয়র টাউন প্ল্যানার নাজিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
র্যালী শেষে সকাল ১১টায় কউক সভাকক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য বিষযের উপর এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিধিমালায় কিছু জ্ঞাতব্য বিষয় ও পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কউক এর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফজলুল করিম। সেমিনারে বক্তারা পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পৌরসভা‘র পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর ও কউক এর সংশ্লিষ্টতার উপর গুরুত্ব দেন। সেমিনারে উপস্থিত পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের সীমাবদ্ধতা ও সমস্যার কথা উল্লেখ করে জানান, নির্দিষ্ট সময়ে যেন হোটেল বা বাসা থেকে ময়লা নির্ধারিত স্থানে ফেলা হয় সে দিকে সবার নজর বাড়াতে হবে। বক্তারা জন সচেতনতার উপর জোর দিয়ে বলেন, নিজে পরিষ্কার না থাকলে শহর পরিষ্কার রাখা যাবে না, আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে, পরিবারের সদস্যদেরকে যত্র-তত্র ময়লা না ফেলার বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।
কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব:) ফোরকান আহমদ বলেন, “কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে পৌরসভার পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে যেখানে সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্ত করা হয়েছিল এবং আমরা ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে পেঙ্গুইন ডাষ্টবিন বসিয়েছি যেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার ও তদারকির জন্য পৌরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সকলের সমষ্টিগত সহযোগিতায় কক্সবাজার শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কউকের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, গণপূত অধিদপ্তর, কক্সবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ, কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মু; সাইফুল ইসলাম, কউক এর বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, কউক এর বোর্ড সদস্য ডা: সাইফুদ্দিন ফরাজী, কউক এর উপ-নগর পরিকল্পনাবীদ জাহাঙ্গীর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিসের সিনিয়র টাউন প্ল্যানার নাজিম উদ্দিন,।
আরো উপস্থিত ছিলেন কউক এর বোর্ড সদস্য এড. প্রতিভা দাশ, কউক এর সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ ছাদেক, বিউবো কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী এ.এইচ.এম, মোস্তফা কামাল, সড়ক বিভাগ কক্সবাজারের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিক রায়হান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মৃদুময় চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।