ইমরান হোসেন মুন্না


আবেগে আপ্লুত হওয়ার মতো কিছু নেই; এটাই ধ্রুব সত্য.ভেবে দেখুন তো, যে মেয়েটাকে আপনি বিছানায় নিয়ে পায়জামা খুলছেন সে মেয়েটাকে
এমনিতে বিছানায় নেয়া দূরের কথা; মুখে বলতে পারতেন কিনা পারতেন না..!
কিন্তু এখন কেন পারছেন.??
কারন তাকে ‘ভালোবাসেন’ তার কাছে আকুল আবেদন দাবী করেছেন
.

যখন মেয়েটিকে আপনি নির্জন জায়গায় নিয়ে যেতে চান; দুজনে এক সাথে একই বিছানার উপর কিছু সময়ের জন্য একে অন্যের মধ্যে নিজেদের বিলিয়ে দিতে চান বলে মেয়েটিকে জানান; তখন হয়ত প্রথমে মেয়েটা বাঁধা দিবে; নিষেধ করবে..!

কিন্তু খানিকক্ষন পরে মেয়েটাও আপনার কথার তালে সম্মতি দিয়ে আপনার সাথে অন্তঃরঙ্গে মেতে উঠবে..!
কেন তা করবে..?
কারন আপনাকে ভালোবাসে তাই…!! সময় অতিক্রম করেছেন তাই লম্বা সময়।
.
‘ভালোবাসেন’ এটা দাবী করেন বলেই দুজনে সেক্স নামক অশ্লিলতায় মেতে উঠতে পারছেন…!
যদি দুজনের মধ্যকার সম্পর্কে ‘ভালোবাসা’ নামক অনুভুতিটা না থাকত তবে কি একে অন্যের সাথে কামলীলায় অন্তঃরঙ্গে মেতে উঠতে পারতেন..?
কখনো না…!

.
ভালোবাসাটাকে আজকাল সেক্সের পরিপূরক করে তুলেছেন আপনারা,আমরা…!
সবাই মিলেই ভালোবাসার দ্বিতীয় রূপ হিসেবে ‘সেক্স’ ভূষিত করেছি..!

ভালোবাসি বলে সেক্স করতে হবে; খোলামেলা শরীরটাকে দেখাতে হবে; মেসেঞ্জারে সেক্স চ্যাট করতে হবে ভিডিও কলে স্তন দেখাতে হবে যে গুলো দেখে আপনি মাষ্টারভেশন করবেন দাঁত কেলিয়ে হাসবেন।

এমন কোন বাধ্যকতা কি ভালোবাসার মধ্যে পড়ে?
.
.
ভালোবাসাটাকে এখনকার সময়ে ‘ভালো বাসা’ খোঁজার প্রকাশ মাত্র লিটনের ফ্লাটে খোঁজার ব্যস্ততা সমন্বয়ে রূপান্তরিত করেছি আমরাই.
কিছুকিছু ভালোবাসা নামক সম্পর্কের কিছুদিন পরই ‘ভালো বাসা’ খোঁজার তাগিদে লেগে পড়ি. সুযোগ পেয়ে গেলেই সেক্স নামক অধ্যায়ের সাথে দুজনের পরিচয় হয়ে যাই..!
.
মেয়েটার সতিত্ব নষ্ট করার পর ছেলেটা যখন মেয়েটাকে ছেড়ে চলে যায়; তখন মেয়েটা ঠুঁকরে ঠুঁকরে কেঁদে কেঁদে নিজের মনকে বলে ‘সে
তো ভালোবাসত-আমিও ভালোবাসি বলেই তো নিজেকে তার কাছে সপে দিয়েছিলাম, তারপরও চলে গেল..
কিন্তু ভালোবাসলেই সেক্স করতে হবে কেন…

.
সব কিছুর জন্যই নিজেরা দায়ী
হুম নিজস্ব সত্ত্বা দায়ী
যদি মনে করেন তার সাথে অন্তঃরঙ্গে নিজেকে না মিলালে
সে ছেড়ে চলে যাবে, তবে যাক
এটাই আপনার জন্য ভালো.
অন্তত: ভালোবাসাকে ভালোবাসা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখুন

নিজের শরীরের উত্তেজনা দিয়ে নয়
একটু ভেবে মিলিয়ে নিন ‘সে+এক্স = সেক্স’ এই সন্ধি
বিচ্ছেদের মধ্যেই আপনি পুরোনো লিষ্টের মধ্যে পড়ে
যাচ্ছেন..
যেনে শুনে কেন একই ভুল
করতে যান।

মেয়েটির প্রয়োজন ছিলো ভালোবাসা আর ছেলেটির প্রয়োজন ছিলো সুন্দর সুঠাম ও ৩২ সাইজের স্তন
হুম যার পাওনা সে বুঝে নিলো শ্যাষম্যাষ কল্ককিনি মেয়েটি টকেছে।তার প্রয়োজন ছিলো দেহ মেয়েটির প্রয়োজন ছিলো ভালোবাসা বাহ সমাধান তো শ্যাষ

ছেড়ে চলে যাওয়ার ছেলে কোন একরাতের আধারে সেইফ লক থেকে ভিডিও গুলো দেখে মাষ্টারভেশন করতে ব্যস্ত থাকবে দাঁত বেকিয়ে হাঁসবে ইস….

আর মেয়েটি সতিত্ব হারানোর বেদনাতে চটপট করে গাল বেলিয়ে কাঁদতে থাকবে ইস… কি যন্ত্রণা

শুধু সেই জানবে সতিত্ব হারানোর বেদনা যে কত যে যন্ত্রণা
হয়তো সে রাতের আধারে কোন এক জোছনা রাতে চাঁদের সাথে গান করবে কত যে তোমাকে ভেসেছি ভালো সে কথা তুমি যদি যানতে এই হৃদয় ছিড়ে যদি দেখানো যেতো আমি যে তোমার তুমি মানতে… গান করতে করতে তার স্তন ভিজে যাবে।

কিন্তু সুবোধ বুঝবে না সতিত্ব হারাবার দুঃখ জনম জনম শত রমণী ধর্ষিত হয়ে আসছে লিটনের ফ্লাটে কিন্তু পার পায় না পেটের বাচ্চাটি অবুঝ শিশুটি এক ভুলে একটি জীবন নিমিষে শ্যাষ।

কিছু গোপন কথা বা কষ্ট একান্তই মনে কোণে লালিত হতে থাকে যা একসময় বড় আকারের দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হয়।
রমণীরা চিরকাল ধর্ষিত হয়ে আসছে চিরকাল, চিরকাল তারা দাসী হিসেবে আছে থাকবে কিন্তু কোন সুবোধ বুঝেনি তার বুকভাঙ্গা গল্প।