টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে দিনদুপুরে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এতে ফিরোজ আহমদ (৩৭) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মাথায় কোপাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। ডাকাতের দল লুট করেছে নগদ দুই লাখ টাকা। এ সময় ডাকাতদলের প্রহারে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩ জন। ফিরোজ আহমদের অবস্থা গুরুতর। তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় মনিরঘোনা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনায় আহতরা হলো- মনিরঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে ফিরোজ আহমদ (বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন), হোয়াইক্যং কাটাখালী এলাকার অলি আহমদের ছেলে মনসুর আলী (৩০), মুহাম্মদ আলমের ছেলে আইয়ুব আলী (৩২) এবং ডেইলপাড়ার আশরাফ আলীর ছেলে আবদুশ শুক্কুর (২৯)।
আহতরা সবাই উলুবনিয়া রাস্তার মাথা থেকে শামলাপুর বাজারে মাছ কিনতে যাচ্ছিল। তারা সবাই পেশাগত মাছ ব্যবসায়ী। নক্তাক্ত ফিরোজ আহমদকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক না পেয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে চট্টগ্রাম রেফার দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। ফিরোজের মাথা দুই ভাগ হয়ে গেছে।
আহত ফিরোজ আহমদের বরাত দিয়ে মোহাম্মদ রিদুয়ানুল হক জানান, ফিরোজ আহমদসহ ৪ জন প্রতিদিনের মতো মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। মনিরঘোনা মাদরাসা এলাকায় পৌঁছলে তাদের গতিরোধ করে একদল স্বশস্ত্র ডাকাত। এরপর টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে ফিরোজ আহমদের মাথায় কোপ মারে ডাকাত দলের একজন। বাকিদেরও বেশ মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যেতে দেখলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ সময় জনতার ধাওয়ায় মুখোশ খোলে গেলে ইদ্রিস প্রকাশ ভুলাইয়া নামের একজনকে চিনতে পারে ভিকটিমেরা। সে ওই এলাকার আবদুল গফুরের ছেলে। ডাকাতদলের সদস্য ৫/৬ জন মতো। এরা সবাই মুখোশ পরিহিত ও স্বশস্ত্র অবস্থায় ছিল।
ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়ার কাছে জানতে চাইলে বলেন, এরকম ঘটনা কেউ আমাদের জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবেনা।