মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ :

সীমান্ত এলাকায় কোন মতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ইয়াবা পাচার। প্রতিদিন কোন না কোন জায়গা হতে ইয়াবা উদ্ধার করা হলে ও পাচারকারী আটকের সংখ্যা খুবই কম। স্থানীয়দের অভিমত পাচারকারী ও ব্যবসায়ী মওজুদদারীদের আটক করা না গেলে কখনো নিয়ন্ত্রন করা যাবেনা এসব কারবার।

টেকনাফ উপজেলায় যে ক’টি পয়েন্ট হতে ইয়াবা পাচার হয় তার মধ্যে আলোচিত হচ্ছে সাবরাং ইউনিয়নের সমুদ্র উপকুলীয় কাটাবুনিয়া এলাকায়। ওই এলাকায় শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারীরা মাদক মওজুদের নিরাপদ স্থান হিসাবে গড়ে তুলেছে পোল্ট্রিফার্ম,মৎসঘের ও গরুর খামার । সে সব জায়গায় দিনে শ্রমিকরা ছদ্মবেশে থাকলে ও রাতে করে ইয়াবা পাচার। অতীতে কাটবুনিয়া এলাকা মালয়েশিয়া মানব পাচারের অঘোষিত ইয়ারপোর্ট হিসাবে খ্যাত থাকলে ও বর্তমানে ইয়াবা ঘাটে পরিণত। মানবপাচার বন্ধ থাকায় ওরা ফের ইয়াবাপাচারে জড়িত হয়ে পড়েছে।

জানা যায় সাবরাং ইউপিস্থ কাটাবুনিয়া এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মের ভিতর ইয়াবার একটি চালান লুকায়িত থাকতে পারে। এ সংবাদে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপির নায়েক মোহাম্মদ লালন খান এর নেতৃত্বে একটি টহলদল ওই এলাকায় গমন করে। পোল্ট্রি ফার্ম এবং এর আশেপাশের এলাকায় তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে, এক পর্যায়ে পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীর নীচে বিছানো কুঁড়ো এবং ময়লা মিশ্রিত বিষ্ঠার স্তুপের নীচে একটি মোড়ানো কালো পলিথিন থেকে ১ কোটি ২০লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪০হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে। তবে পোল্ট্রিফার্ম থেকে ইয়াবা উদ্ধার করেছে মর্মে প্রেস রিলিজে উল্লেখ করলে ও কিন্তুু ফার্ম মালিকের নাম উল্লেখ নেই।

২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।