বলরাম দাশ অনুপম :

আগামী জাতীয় নির্বাচনে কক্সবাজার ০৩ (সদর -রামু) আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইশতিয়াক আহমেদ জয় প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন।দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়না ও থানা গুলো চষে বেড়াচ্ছেন।
একই সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের নানান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।

ইদানীং ইশতিয়াকের নির্বাচনী প্রচারণার গতি আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।এসেছে অভিনবত্ব..

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা ইশতিয়াক আহমেদ জয় একের পর এক ইউনিয়নে যাচ্ছেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করছেন,কুশল বিনিময় ও করতে ছুটছেন নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন গ্রামে।প্রত্যেক শুক্রবারে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা সদর রামু কিংবা বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদ গুলোতে জুমার নামাজ আদায় করে মুসল্লীদের নিকট দোয়া চাইছেন,যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সামাজিক,ধর্মীয় ও বিয়ের অনুষ্ঠানে।
ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে উঠান বৈঠক করছেন। প্রতিটি উঠান বৈঠকে তিনি তুলে ধরছেন বর্তমান সরকারে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা ইতিবাচক কাজের গল্প। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিটি সভা-সমাবেশে তিনি নৌকা প্রতীকের জন্য ভোট প্রার্থনা করছেন। ইশতিয়াক আহমেদ জয় কে নিয়ে তৃণমূলে কোনো বিভেদ না থাকায় তার শেখ হাসিনার উন্নয়নের গল্প শীর্ষক সরকারের উন্নয়ন প্রচার-প্রচারণায় যোগ দিচ্ছেন তৃণমূল আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।প্রতিটি বৈঠকে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ।

কক্সবাজার তৃণমূল আওয়ামীলীগের প্রবীন বেশ কয়েকজন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা ও সমর্থকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় কক্সবাজার ০৩ (সদর-রামু) আসনে ইশতিয়াক কে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে এমপি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তারা বিশ্বাস করেন। তাদের ধারনা ইশতিয়াক নতুন ও তরুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।এবং কক্সবাজার সদর রামুর একুশটি ইউনিয়নেই ইশতিয়াকের রয়েছে বিশাল সুশৃংখল কর্মী বাহিনী।তাছাড়া ছাত্রনেতা হিসেবে ইশতিয়াকের পুরানো প্রাচীর ভেঙ্গে আধুনিক ধারার সৃজনশীল ইতিবাচক কর্মকান্ডের জন্যই ইশতিয়াক নামটি এখন কক্সবাজারের মাটি ও মানুষের আবেগে ও ভাল লাগায় পরিনত হয়েছে।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা প্রসঙ্গে ইশতিয়াক বলেন,কক্সবাজারবাসী কে প্রানপ্রিয় নেত্রী দুহাত ভরে দিয়েছেন।
কক্সবাজারে স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ নির্মান,আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম নির্মান ,আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মান ,দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মান সহ রামুতে দেশের সর্বাধুনিক সেনানিবাসের কাজ শেষ করে ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতেই কক্সবাজার এসে উদ্ভোধন করে গেছেন।এছাড়া দোহাজারী হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন কাজ এবং মাতারবাড়িতে দেশের সর্ব বৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ পুরোধমে চলছে।এত প্রকল্প এত উন্নয়ন দেশের আর কোন জেলায় হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।তাই এবার কক্সবাজার বাসী নৌকায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছে।শুধু কক্সবাজার সদর রামু আসন নয় কক্সবাজারের সবকটি আসনে এবার জনগন নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়ে জেলার চারটি আসনই নেত্রীকে কক্সবাজারের মানুষ উপহার দেবে বলে ইশতিয়াক আহমেদ জয় মনে করেন।

তরুন আলোচিত ছাত্রনেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয় আরো বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের সঙ্গে আমার রয়েছে গভীর হৃদ্যতা।প্রানপ্রিয় নেত্রী এবং আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে মনোনয়ন দিলে যেকোন মূল্যে এই আসনটি আমি পুনরদ্ধার করে প্রান প্রিয় সভানেত্রীকে উপহার দিতে চাই।কক্সবাজার পৌরসভা,কক্সবাজার সদর,রামু উপজেলা ও বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের মানুষের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক।
এ অঞ্চলের প্রবীন মুরব্বীদের সাথে সম্পর্ক বাপ ছেলের মতোন।এদের অনেকের কোলে চড়েই আজ আমি এ পর্যায়ে এসেছি। আমি খুব ভাল করেই জানি বিএনপি জামায়াতের ভোট ব্যাংক তছনছ করে দিয়ে কিভাবে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হয়।মাঠের হোম ওয়ার্ক আমার শেষ,আমি এখন আপার নির্দেশের অপেক্ষায়।