বিনোদন ডেস্ক:
দীর্ঘদিন বড়পর্দায় নেই অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। ফলে হেডলাইনেও ছিলেন না। ফিরেছেন বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে। নানা পাটেকের বিরুদ্ধে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন দিন দু’য়েক আগেই। এ বার মুখ খুললেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে।

২০০৫-এ মুক্তি পেয়েছিল বিবেক পরিচালিত ছবি ‘চকোলেট’। অভিযোগ, তার সেটেই নাকি তনুশ্রীর সঙ্গে অভব্যতা করেছিলেন তিনি। পোশাক খুলে নাকি তনুশ্রীকে নাচের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিবেক। তবে তনুশ্রীর সহ-অভিনেতা ইরফান খান এবং সুনীল শেট্টি নাকি ওই ঘটনার প্রতিবাদ করে নায়িকার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

তনুশ্রী সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘চকোলেটের সেটে সেদিন আমার শট ছিল না। আমি অন্য এক অভিনেতাকে কিউ দিচ্ছিলাম। ওই অভিনেতা আমার দিকে তাকিয়ে এক্সপ্রেশন দেবেন, সেই কিউ দেয়ার কাজ ছিল আমার। তখন পরিচালক আমাকে পোশাক খুলে নাচতে বলেছিলেন। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’

সে সময় তনুশ্রীর সাহায্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন ইরফান খান। সেদিন ইরফানেরই শট চলছিল বলে জানিয়েছেন তনুশ্রী। তার কথায়, ‘ইরফান বলেছিল আমার এক্সপ্রেশন দেয়ার জন্য ওকে পোশাক খুলে নাচতে হবে না।’

তনুশ্রী জানিয়েছেন, সে সময় সেটে সুনীল শেট্টিও উপস্থিত ছিলেন। তনুশ্রীকে ওই নির্দেশ দেয়া হচ্ছে দেখে সুনীলও নাকি পরিচালককে বলেছিলেন, ‘আমি কিউ দিতে যাব?’ ফলে ইন্ডাস্ট্রির কালো দিকটা যেমন দেখেছেন, তেমনই তনুশ্রীর মতে, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে ইরফান বা সুনীলের মতো ভালো লোকও অবশ্যই রয়েছেন।’

তনুশ্রী আগেই জানান, ২০০৯-এ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ছবির শুটিংয়ের ফ্লোরেই তাকে চরম হেনস্থা করেছিলেন নানা পাটেকর। ওই ছবিতে নানা পাটেকরই ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। একটি আইটেম নম্বরে ছিলেন তনুশ্রী।

বাঙালি এই অভিনেত্রীর অভিযোগ, সেই গানের দৃশ্যেই নানা পাটেকর তার সঙ্গে অস্বস্তিকর ব্যবহার করেন। তার দাবি, অন্তরঙ্গ হওয়ার প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিলেন নানা পাটেকর। সেসময় সকলেই এ কথা জানলেও কেউ প্রকাশ্যে তনুশ্রীর পাশে দাঁড়াননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

তবে তনুশ্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নানা পাটেকর। তিনি বলেছেন, ‘ওই সময় সেটে অন্তত ৫০ থেকে ১০০ জন লোক ছিল। সবার কাছ থেকেই সাহায্য চাইব। পাশাপাশি আইনি দিকও খতিয়ে দেখছি। কী করা যায় আলোচনা চলছে।’ যদিও তনুশ্রীর অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি বিবেক।