হাবিবুর রহমান সোহেল: 
কূখ্যাত ও স্বশস্ত্র আনাইয়্যার নের্তৃত্বে ডাকাতদল ফাকাঁ গুলি ছুটে আতংক সৃষ্টি করে  রামুর গর্জনিয়ায় ৩দিন ধরে উপর্যুুপরি ডাকাতী,মারধর,অপহরণের চেষ্টা ও ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব ঘটনায় ধর্ষিতা ২ নারী সহ ৫ নারী আহত হয়েছে। এদের ২ জনকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ডাকাতের চাদাঁদাবী করা এলাকাবাসী এখন গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে সরে গেছে অন্যত্র ।  এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে স্থানীয় পুলিশদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে।
এলাকাবাসী জানান, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইয়্যা ডাকাত বাইশারী ছেড়ে গত ৩ দিন ধরে গর্জনিয়ায় তান্ডব শুরু করেছে। গত মঙ্গলবার গহীনরাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা চালায় ককসবাজার জেলার  গর্জনিয়া ইউনিয়নের দূর্গম শামার ঘোনা ও মিয়াজির ঘোনাএলাকায়। মিয়াজির ঘোনা এলাকাটি হলো ইউনিয়নের থোয়াইংগ্যার কাটা গ্রামের পূর্বদিকের পাহাড়ি এ গ্রাম।
এ গ্রামের শাহ আলম নামের এক ব্যবসায়ী ও কৃষক জানান, আন্ইায়্যা ডাকাতের নেতৃর্ত্বে ডাকাতদল তার বাড়িতে হানা দেয় বৃহস্পতিবার গহীনরাতে। প্রথমে তারা ফাকাঁ গুলি ছুটে। পরে দরজা ভাঙ্গে ১টি। এর পর আরো ২ রাউন্ড ফাকাঁ গুলি ছুটে আতংক ছড়িয়ে ডাকাতি করতে থাকে। এ সময় তারা ( ডাকাতরা)  তার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ,মোবাইল ও স্বর্ণ সহ এক লক্ষ টাকা লুট করে। আর ডাকাতদের যথাসময়ে ভেতর থেকে দরজা খুলে না দেয়ার অজুহাতে ৭ম শ্রেণির ছাত্রি তসলিমা আক্তার, গৃহবধূ রহিমা খাতুন (৩৫) ও জরিনা খাতুন ( ৩০) কে ছুরিকাঘাত সহ মারধর করে। ছাত্রি তসলিমাকে অপহরণের জন্যে অনেকদূর নিয়ে গেলেও এলাকাবাসী চর্তুপাশ দিয়ে এগিয়ে আসলে সে ছাড়া পায়।  তারা এখন নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে ।
তিনি আরো জানায়, এ ডাকাত দলটি শুক্রবার সকাল থেকে ফোনে ৫ লাখ টাকা চাদাঁদাবী করে আসছিলো তার কাছ থেকে। নয়তো তাকে অপহরণ করে এ টাকা আদায়ের হুমকিও  দিচ্ছে বারবার। এখন সে নিজেও এলাকাছাড়া।
সেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মো: ওসমান জানান, গত ৩ দিন ধরে তান্ডব চালানোর পরও শুক্রবার রাত ৮টায় এ আনাইয়্যা ডাকাত তার দলবল সহ শামার ঘোনা পাহাড়ে অবস্থান করছে। আর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ৫ গ্রামের প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে এসেছে নিরাপদে। এখন তারা বাড়ি-ঘরের মূল্যবান মালামাল বা সম্পদ নিয়ে দারুন দূ:চিন্তায়। এ গ্রাম গুলো হলো:শিয়া পাড়া,মিজ্জির ঘোনা,শামার ঘোনা,মৌলভী ঘোনা ও আবুল কাশেমের ঘোনা।
এ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল জলিল ও আবদুল্লাহ সহ অনেকেই জানান, সোমবারের পর মঙ্গলবার রাতে এক জনকে অপহরণের করে ডাকাতদলটি থেমে থাকেনি। ডাকাতদলটি  তাদের ২ নারীকে ধর্ষণ করেছে এ রাতে। যা খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর এসব গ্রামের নারীরা এখন চরম আতংকে রয়েছে। তারা আরো জানান, ধর্ষিতা নারীদের একজন তরুণী আর অপর জন গৃহবধূ। তারা ডাকাতের হাতে নিগৃহীত  ও আহত হন। তাদের পরিবার এসব লোকজন নিয়ে নানাভাবে বিব্রত।
এ বিষয়ে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনসূর জানান, েকিছু সন্ত্রাসী গর্জনিয়ার শামাঘোনা এলাকায় হানা দিচ্ছে তিনি শুনেছেন। বর্তমানে এসব এলাকায় পুলিশী টহল রয়েছে। আরো বাড়ানো হচ্ছে।  আর এসব ঘটনায় কয়েকজন নারী আহতের বিষয়েও জানেন তিনি।  তবে ধর্ষণের বিষয়টি তিনি খোজঁ নিয়ে দেখবেন। তিনি আরো জানান, দূধর্ষ আনাইয়্যা ডাকাত ও তার দলকে আটকে পুলিশ-র‌্যাব ও বিজিবি মাঠে নেমেছে। খুব অল্প সময়েই সে আটক হবে। দূ:চিন্তার কোন কারণ নেই।